সিলেট থেকে: চাকরি করতেন বিমানবাহিনীতে। এরপর সিটি ক্লাবের হয়ে সুযোগ পান প্রথম বিভাগ ক্রিকেট খেলার।
হাই পারফরম্যান্স দল, ‘এ’ দল হয়ে জাতীয় দলে খেলছেন এখন। ধীরে ধীরে মেলে ধরছেন তিন ফরম্যাটেই। বিশেষত পেস বোলিং কোচ হিসেবে অ্যালান ডোনাল্ড আসার পর এবাদত আরও বেশি উজ্জ্বল। সুযোগ পেয়ে ডোনাল্ডের কাছেই প্রশ্ন, এবাদতের উন্নতির জায়গা আর কোথায়?
বুধবার সিলেটে তিনি বলছিলেন, ‘এবাদত তো কাপিয়ে দিচ্ছে! ঠিক এক বছর আগে আমি ওকে যখন সাউথ আফ্রিকায় দেখেছিলাম তখন থেকেই সে মুগ্ধ করে চলেছে। আপনি যদি জিজ্ঞেস করেন কোনো বিভাগে তার উন্নতির প্রয়োজন আছে কিনা! সেটাই আমি খোঁজার চেষ্টায় আছি। তবে আমার কাছে সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হচ্ছে এবাদত সব সময় খেলার ভেতর থাকে। ’
‘চার-ছয় খেলেও সে প্রতি ম্যাচেই উইকেট পাচ্ছে। কখনও কখনও সে ১৪৫-১৪৮ গতিতে বোলিং করছে, আপনি জানবেন এই গতি ম্যাচের কোনো না কোনো অংশে দলের কাজে আসবে। গত ম্যাচেও এটা দেখা গেছে। সে প্রশংসার যোগ্য, সে অ্যাথলেট, কাজ করার জন্য দারুণ একজন; সিলেট রকেট। ’
এবাদতকে নিয়ে সবসময়ই দেখা যায় ডোনাল্ডকে কাটাতে দেখা যায় ব্যস্ত সময়। বাংলাদেশি পেসারও সুযোগ পেলেই জানান, নিজের উন্নতিতে দক্ষিণ আফ্রিকান কোচের অবদান। ডোনাল্ডের কথাতেও স্পষ্ট হলো তার এবাদতের প্রতি মুগ্ধতা।
তিনি বলছিলেন, ‘আমি ওর সঙ্গে কাজ করতে ভালোবাসি, দারুণ প্রতিভাবান। পেস বোলিং প্রতিযোগিতা থেকে এখন যে অবস্থায় সে আছে, এটা সে অর্জন করে এসেছে। তিন ফরম্যাটেই দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠছে। আমি শুধু ওর সঙ্গে না, সবার সঙ্গেই কাজ করছি। বিশেষ করে টেক্টিকাল বিষয়গুলোর প্রতি বাড়তি মনোযোগ দিচ্ছি। তিন ফরম্যাটেই ম্যাচের বুদ্ধিমত্তা নিয়ে আমরা কাজ করছি, দল হিসেবে এই জায়গায় আমাদের আরও উন্নতি করতে হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২৩
এমএইচবি/আরইউ