অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ (২০২০) দলে ছিলেন, পরে অবশ্য টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার আগেই ফিরতে হয়েছে চোটের কারণে। এরপর থেকে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলছেন নিয়মিতই।
এবার মৃত্যুঞ্জয়ের সুযোগ মিলেছে জাতীয় দলে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দলে আছেন তিনি। ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে আইরিশদের বিপক্ষে লড়তে হবে। ওই প্রস্তুতি বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে সিলেটে। প্রথম দিনের অনুশীলনের পর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন মৃত্যুঞ্জয়।
তিনি বলেন, ‘দলের সঙ্গে হয়তো অনুশীলন করা হয়েছে। কিন্তু দলের ভেতর থেকে সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে এভাবে কখনো অনুশীলন করা হয়নি। সেক্ষেত্রে এটা অনেক বড় অর্জন। আজকে অনেক ভালো লাগাও ছিল যে নতুন কিছু শিখতে পারছি। সে হিসেবে বলবো আজকের দিনটা খুব ভালো গিয়েছে। ’
সিলেটের কন্ডিশনে অনুশীলন নিয়ে মৃত্যুঞ্জয় বলেন, ‘দেখেন, আপনি যেটা বললেন ইংল্যান্ডের উইকেট বাউন্সি আছে। সেক্ষেত্রে সিলেটের উইকেটের একটা সুনাম আছে আগে থেকেই। আজকেও আমরা অনুশীলন করলাম, উইকেটে তেমন বাউন্স অনেকটা ছিল। যেটা আমাদের ইংল্যান্ডে খেলার দিক থেকে একটু হলেও প্রস্তুতি দেবে। কিন্তু একেবারে পুরোপুরি ওই ধরনের উইকেট তো এখানে সম্ভব না। তারপরও যতটুকু হয়েছে ভালো। ’
পেস বোলিং অলরাউন্ডারের সংকটটা অনেকদিনের। মাঝে কয়েকজনকে চেষ্টা করা হলেও কেউই স্থায়ী হতে পারেননি। এবার সুযোগ পেয়েছেন মৃত্যুঞ্জয়। তিনি জানান, টিকে থাকতে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।
মৃত্যুঞ্জয় বলেন, ‘আমি আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবো প্রথমত। আমি যদি সেরাটা দিতে পারি তাহলে হয়তো ভালো কিছু হবে। কিন্তু পারফরম্যান্সের দিক থেকে...বা সবকিছু একটা ক্রিকেটারের হাতে থাকে না। কঠোর পরিশ্রম ও আগ্রহ আমার হাতে আছে। বাদ বাকিটা আমি চালিয়ে যাই। যদি আল্লাহ লিখে রাখে ভালো কিছু হবে। ’
নিজের ব্যাটিং নিয়ে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই পরিকল্পনা আছে। কারণ আমি ছোট বেলা থেকে যখনই খেলা শুরু করেছি আমার ভালো অলরাউন্ডার হওয়ার ইচ্ছে ছিল। হয়তো বোলিংটা ওভাবে ক্লিক করেছে এজন্য সবাই বোলার হিসেবে চেনে। ব্যাটিংটাও ভালো আছে, হয়তো ওভাবে ক্লিক করেনি। আশাবাদী আছি যেদিনই ক্লিক করবে ভালো কিছু একটা হবে। ’
দলের অনুশীলন নিয়ে এ পেসারের ভাষ্য, ‘আজকে অনুশীলন যেটা হয়েছে সেটা হলো ম্যাচ কন্ডিশনের ওপর নির্ভর করে প্রথম দশ ওভারে কীভাবে খেলতে হবে, শেষের দিকে কীভাবে খেলতে হবে। এ অনুযায়ী যখন যে ব্যাটারকে যেভাবে নামানো হয়েছে, যে পরিকল্পনা দেওয়া হয়েছে, তখন তারা সেভাবে ব্যাট করছে। যাদের শেষে নামানোর পরিকল্পনা দেওয়া হয়েছে তখন তারা মেরে খেলেছে। আজকে শুধু ম্যাচ পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া হয়েছে। ’
বাংলাদেশ সময় : ১৯৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২৩
এমএইচবি/এএইচএস