শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কলম্বোতে দ্বিতীয় টেস্ট শেষেই বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এর আগে ওয়ানডে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকেই তার টেস্ট নেতৃত্বে থাকা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল।
শান্তর টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে চালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ ছিল, এবং শেষ পর্যন্ত তিনি নিজেই পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে এক ইনিংস ও ৭৮ রানের লজ্জার হারের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে এই ঘোষণা দেন তিনি। বিসিবিকেও এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর তিন ফরম্যাটেই বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পেয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু সবকিছু ঠিকঠাক মতো গুছিয়ে ওঠার আগেই একে একে দায়িত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন তিনি।
আসলে গত বছরই নেতৃত্ব ছাড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। তবে তৎকালীন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের অনুরোধে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছিলেন শান্ত। যদিও তখনই টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব ছেড়ে দেন তিনি।
এরপর হঠাৎ করেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগে ওয়ানডে অধিনায়কত্বও হারান—নতুন অধিনায়ক হন মেহেদী হাসান মিরাজ। সেই সিদ্ধান্তের পর থেকেই গুঞ্জন চলছিল, টেস্ট অধিনায়কত্বও হয়তো ছাড়তে যাচ্ছেন শান্ত। অবশেষে, কলম্বো টেস্টের পর আনুষ্ঠানিকভাবে সরে দাঁড়ালেন তিনি।
তবে অধিনায়ক হিসেবে তার পারফরম্যান্স ছিল বেশ ইতিবাচক। যেখানে টেস্টে তার ক্যারিয়ার গড় ৩২, সেখানে অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৬-এ। টেস্টে শান্তর মোট ৭টি সেঞ্চুরির মধ্যে ৩টিই এসেছে অধিনায়ক থাকা অবস্থায়, সঙ্গে রয়েছে ২টি ফিফটিও।
এমএইচএম