ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

পন্থের ‘খোঁচা’র জবাব সেঞ্চুরি দিয়ে দিলেন মুমিনুল

স্পোর্টস ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৪
পন্থের ‘খোঁচা’র জবাব সেঞ্চুরি দিয়ে দিলেন মুমিনুল

উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে মুমিনুল হকের উচ্চতা নিয়ে 'রসিকতা' করেছিলেন ঋষভ পন্থ। কানপুর টেস্টের এ ঘটনা নিয়ে একচোট আলোচনাও হয়ে গেছে।

কিন্তু মুমিনুল যে সেই রসিকতাকে এত 'সিরিয়াসলি' নেবেন, তা হয়তো পন্থ নিজেও ভাবেননি।  

ভারতের মাটিতে এর আগে ৮ ইনিংস খেলে ৯৬ রানের বেশি করতে পারেননি মুমিনুল হক। সেই তিনিই কানপুর টেস্টে খোলস ছেড়ে বের হতে পারলেন। শুধু তা-ই নয়, ১৫ মাস পর পেলেন সেঞ্চুরির দেখাও।

কানপুর টেস্টের প্রথম দিনে মাত্র ৩৫ ওভার খেলা মাঠে গড়ায়। যেখানে ৩ উইকেট হারিয়ে ১০৭ রান করে বাংলাদেশ। ৩৩তম ওভারে ঘটে ওই ঘটনা। বোলিংয়ে আসেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। স্ট্রাইক প্রান্তে তখন মুমিনুল। এরাউন্ড দ্য উইকেট থেকে বোলিং শুরু করেন অশ্বিন।  

প্রথম বলে এলবিডব্লিউর আবেদন ওঠে। তবে অশ্বিন জানতেন তা সুইপ করার সময় বল মুমিনুলের ব্যাটেই লেগেছে। এরপর ৫ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতার মুমিনুলের সম্পর্কে ৫ ফুট ৭ ইঞ্চির পন্ত বলে ওঠেন, ‘আমরা তার হেলমেট (বল লাগিয়ে) থেকে এলবিডব্লিউ নিতে পারি, ভাই (অশ্বিনকে)। ’ 

যা শুনে হাসিতে ফেটে পড়েন সুনীল গাভাস্কার। ধারাভাষ্যকক্ষে থাকা কিংবদন্তি এই ব্যাটার বলেন, ‘হিন্দিতে পন্ত যেটা বোঝাতে চাইছে, হেলমেটে (বল) লাগিয়েও এলবিডব্লু নেওয়া যেতে পারে। সে আসলে মুমিনুলের উচ্চতাকে ইঙ্গিত করেছে। শুধুমাত্র ঋষভ পন্তই এভাবে ভাবতে পারে। ’ 

সেদিন মুমিনুল ৪০ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। পরের দুই দিন খেলাই সম্ভব হয়নি। আর আজ চতুর্থ দিনের খেলা শুরু হয় নির্ধারিত সময়েই। ব্যাট করতে নেমে একের পর এক উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দিনের শুরুর দিকেই মুশফিকুর রহিম (১১) বিদায় নেন। এরপর লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, খালেদ আহমেদরা আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন।

১০৭ থেকে ২৩৩ রান পর্যন্ত যেতেই বাকি সব উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। কিন্তু একপ্রান্তে দেয়াল হয়ে দাঁড়ান মুমিনুল। মাঝে ফিফটি তুলে নেন তিনি। এরপর মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে ছুটতে থাকেন সেঞ্চুরির পথে। প্রথম সেশনের শেষ ওভারে অশ্বিনকে সুইপে চার মেরে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন তিনি।

 হেলমেট খুলে মিরাজের সঙ্গে উচ্ছ্বাসই বলে দিচ্ছিল মুহূর্তটির জন্য কতটা ব্যাকুল ছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।  ক্যারিয়ারে এটি তার ১৩তম সেঞ্চুরি এবং বিদেশের মাটিতে দ্বিতীয়। সবশেষ গত বছরের জুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।

কানপুরে এনিয়ে দ্বিতীয়বার সফরকারী কোনো দলের ব্যাটার সেঞ্চুরির দেখা পেলেন। এর আগে ২০০৪ সালে ১৬৩ রান করেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অলরাউন্ড অ্যান্ড্রু হল।  

সবমিলিয়ে পন্থের ওই রসিকতা বা 'খোঁচা'র সঙ্গে সম্পর্ক না থাকলেও মুমিনুলের সেঞ্চুরিটি 'বিশেষ'।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৪
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।