গত বিপিএলে দুর্দান্ত পারফরম করেছিলেন আলিস আল ইসলাম। ৮ ম্যাচে নেন ৯ উইকেট।
কিন্তু আঙুলের চোট তাকে ছিটকে দেয়। এরপর প্রায় এক বছর তেমন আলোতে আসতে পারেননি তিনি। সুযোগ পাননি জাতীয় দলেও। তবে সদ্য সমাপ্ত এনসিএল টি-টোয়েন্টি দিয়ে আবারও আলোয় আলিস।
ঢাকা মেট্রোর হয়ে ওভারপ্রতি ৫.৩২ গড়ে রান দিয়ে ১০ ম্যাচে ১৪ উইকেট নেন তিনি। এবারের বিপিএলে আলিস খেলবেন চিটাগাং কিংসের হয়ে। শুক্রবার অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আলিস। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, গত এক বছর কীভাবে কেটেছে।
উত্তরে আলিস বলেন, ‘যখন জাতীয় দলে ডাক পেলাম, এরপরই চোট আসে। প্রায় সাড়ে তিন মাস ছিল। বিপিএল, শ্রীলঙ্কা সিরিজ এমনকি আমাদের প্রিমিয়ার লিগ মিস হয়ে গেছে। আর প্রিমিয়ার লিগের পর তো আমাদের সাধারণত খেলা থাকে না। ফোর ডে এনসিএল আমি খেলিনি। এনসিএল টি-টোয়েন্টি দিয়েই শুরু করি। ’
‘এর আগে অস্ট্রেলিয়া ও ওমান সফরে ছিলাম। দুইটা সফরই ভালো গেছে। অস্ট্রেলিয়ায় দলও ভালো করে, আমিও ভালো করি। ওমান সফরেও সবকিছু ভালো যায়। লাইমলাইটের ব্যাপারটা... খেলা থাকলে অবশ্যই লাইমলাইটে আসা যেত। এনসিএল টি-টোয়েন্টি হয়েছে, ভালো খেলার চেষ্টা করেছি। ফল আপনারা দেখতেই পেয়েছেন। ’
দুর্ভাগা চোট নিয়ে এক ধরনের আফসোসই শোনা গেল আলিসের কণ্ঠে। জাতীয় দলে স্কোয়াডে সুযোগ পেয়েও চোটের জন্য খেলতে পারেননি। এরপর মানসিক অবস্থা কেমন ছিল? উত্তরে আলিস বলেন, ‘চোটের ব্যাপারটা আমার সঙ্গে অনেকবারই হয়েছে। আমার কাছে এটা এখন স্বাভাবিক। ’
চোটে ছিটকে যাওয়া ক্রিকেটাররা চলে যান আড়ালে। তাদের খোঁজ তখন কেউ রাখে না। তবে আলিসের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল নির্বাচক হান্নান সরকারের। তার সঙ্গে সব বিষয়েই কথা হয় বলে জানিয়েছেন এ স্পিনার।
তিনি বলেন, ‘আসলে নির্বাচকদের সঙ্গে সবসময়ই কথাবার্তা হয়। বিশেষ করে হান্নান ভাইয়ের সঙ্গে। তার সঙ্গে ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা হয়। ক্রিকেটের বাইরের কথাও হয়। সবকিছু নিয়ন্ত্রণের ভেতরেই আছে। এখন ভালো একটা সুযোগ লাগবে। ভালো পারফর্ম করতে হবে। জাতীয় দল তো সহজ নয়। ’
‘একবার সুযোগ পেয়েছি দেখে বারবার আমার জন্য এটা সহজ হয়ে যাবে এমন নয়। আবার জাতীয় দলে খেলতে হলে আমাকে প্রমাণ করেই আসতে হবে। বিপিএল একটা ভালো মঞ্চ। আবার সুযোগ এসেছে প্রমাণ করার। ইনশাআল্লাহ্ চেষ্টা করব। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪
এমএইচবি/আরইউ