ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ মাঘ ১৪৩১, ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ০০ শাবান ১৪৪৬

ক্রিকেট

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও অধিনায়কদের ফটোসেশন ছাড়াই শুরু হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২৫
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও অধিনায়কদের ফটোসেশন ছাড়াই শুরু হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি

আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টের আগে অধিনায়কদের নিয়ে ফটোসেশন হওয়া স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তা হচ্ছে না।

এমনকি হচ্ছে না অধিনায়কদের মিলনমেলা ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানও।

১৯৯৬ সালের পর এই প্রথম পাকিস্তানে হবে কোনো আইসিসির টুর্নামেন্ট। নিয়ম অনুযায়ী, আয়োজক দেশে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অংশগ্রহণকারী দলগুলোর অধিনায়কদের নিয়ে মিলনমেলাও বসে। যেখানে অধিনায়করা সংবাদ সম্মেলন ও ট্রফির সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন। কিন্তু এবারের আয়োজক দেশ পাকিস্তানে এসব কিছুর দেখা মিলবে না।

এর আগে ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়নি। তবে সংযুক্ত আরবে আমিরাতে হওয়া ওই আসরে অধিনায়কদের মিলনমেলা বসেছিল, হয়েছিল আনুষ্ঠানিক ফটোশুটও। কিন্তু এবার আইসিসি বা পিসিবি (পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেয়নি।  

তবে টুর্নামেন্ট শুরুর ৩ দিন আগে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরের একটি ছোটখাটো অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। পিসিবির একজন কর্মকর্তা ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট 'ক্রিকইনফো'-কে জানিয়েছেন, অনুষ্ঠানটি আইসিসির সমর্থন নিয়েই করা হবে এবং সেখানে আইসিসির কর্মকর্তাদের উপস্থিতির সম্ভাবনাও আছে।

পিসিবির ওই কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, মূলত যথাসময়ে সব দলের অধিনায়কদের পাওয়া না যাওয়ার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা যে পাকিস্তানে যাচ্ছেন না, তা আগেই জানা গিয়েছিল। এবার ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কের ব্যাপারেও একই কথা শোনা যাচ্ছে। তবে ভারতের ক্ষেত্রে সেদেশের সরকারের ভূমিকা রয়েছে। বাকি দুই দেশের ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে শিডিউল জটিলতার কথা।

এবারের আসর বসবে পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরবে আমিরাতের চারটি ভিন্ন ভেন্যুতে। যে কারণে শিডিউল জটিলতা তৈরি হতে পারে। 'ক্রিকইনফো' জানিয়েছে, হাইব্রিড মডেলের টুর্নামেন্ট শুরুর আগের দিন, অর্থাৎ ১৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে যাবে ইংল্যান্ড দল। আর অস্ট্রেলিয়া যাবে পরদিন অর্থাৎ উদ্বোধনী ম্যাচের দিনেই।

আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টের আগে অধিনায়কদের মিলনমেলা না হওয়ার মতো ঘটনা অবশ্য আরও আছে। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। ক্যারিবিয়ান ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে সেবার প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে দলগুলো। পরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বদলে নিউইয়র্ক শহরের রকফেলার সেন্টার বিল্ডিংয়ে ২০ দলের অধিনায়কদের ছবি নিয়ে লাইটিং প্রোজেকশন শোর আয়োজন করেছিল আইসিসি।

এবারের ঘটনার মূল কারণ ভারত ও পাকিস্তানের রাজনৈতিক বৈরিতা। ২০১২ সালের পর থেকে এ কারণে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলা থেকে বিরত রয়েছে। তবে আইসিসির টুর্নামেন্টে তারা একে অন্যের মুখোমুখি হচ্ছে। এমনকি ভারতের মাটিতে হওয়া আইসিসির দুটি টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু ২০০৮ সালের পর পাকিস্তানের মাটিতে খেলতে যায়নি ভারত।  

এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে হাইব্রিড মডেলে টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়েছে। এই মডেল অনুসারে, ভারতের সব ম্যাচ দুবাইয়ে হবে। যদি ফাইনালে ভারত উঠতে পারে, তাহলে সেটিও হবে দুবাইয়েই। একই মডেল অনুযায়ী, ২০২৭ সাল পর্যন্ত ভারতের মাটিতে হওয়া আইসিসির সকল টুর্নামেন্টের ক্ষেত্রেও অন্য ভেন্যুতে খেলতে পারবে পাকিস্তান।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২৫
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।