বাংলাদেশকে ধবলধোলাই করার ম্যাচেই টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন মোহাম্মদ হারিস। সেই ম্যাচসেরা ইনিংসের পুরস্কার এবার শুধু সেদিনের ম্যাচেই সীমাবদ্ধ থাকল না—আইসিসির হালনাগাদ র্যাংকিংয়েও মিলেছে তার প্রতিফলন।
অপরাজিত ১০৭ রানের সেই দুর্দান্ত ইনিংসের সুবাদে পাকিস্তানের এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার এক লাফে এগিয়েছেন ২১০ ধাপ। এখন ৫৮০ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের তালিকায় তার অবস্থান ৩০তম। বয়স মাত্র ২৪, তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের জাত চেনাতে শুরু করেছেন বেশ দৃঢ়ভাবেই।
হারিসের মতো উন্নতি করেছেন আরও কয়েকজন পাকিস্তানি ব্যাটারও। তরুণ হাসান নওয়াজ ৫৭ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ৪৫ নম্বরে। তার সঙ্গে যৌথভাবে রয়েছেন নিউজিল্যান্ডের বাঁহাতি ব্যাটার মার্ক চ্যাপম্যান, যিনি এক ধাপ পিছিয়ে এসে সেই অবস্থানটি ভাগ করছেন। পাকিস্তানের অধিনায়ক সালমান আগা ৪২ ধাপ এগিয়ে এখন ৭৫ নম্বরে।
বাংলাদেশ সিরিজে দলগতভাবে ব্যর্থ হলেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের প্রভাব পড়েছে আইসিসি র্যাংকিংয়ে। তরুণ ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন—দুজনেই ২৮ ধাপ করে এগিয়েছেন। তবে অবস্থান আলাদা। তানজিদ এখন ৫৩ নম্বরে, আর পারভেজ আছেন ৯৫ নম্বরে। উইকেটরক্ষক-ব্যাটার জাকের আলি অনিক ৩ ধাপ এগিয়ে এখন ৬৮ নম্বরে। তবে তাওহিদ হৃদয় ৭ ধাপ পিছিয়ে গেছেন, এখন তার অবস্থান ৪১ নম্বরে।
ব্যাটারদের র্যাংকিংয়ে ৮৫৬ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ট্রাভিস হেড।
বোলারদের র্যাংকিং: বাংলাদেশের পতন, পাকিস্তানের উত্থান
বোলারদের র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের জন্য অবশ্য ছিল হতাশার খবর। শীর্ষে থাকা শেখ মেহেদী হাসান তিন ধাপ পিছিয়ে এখন ২২ নম্বরে। আর বাকি বোলারদের রেটিংয়েও উন্নতির ছাপ নেই।
এর বিপরীতে পাকিস্তানি বোলাররা দেখিয়েছেন উন্নতির ধার। পেসার আব্বাস আফ্রিদি ১৮ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ১৯ নম্বরে। স্পিন বিভাগে আছেন দুইজন—আবরার আহমেদ ও শাদাব খান। দুজনেই এখন যৌথভাবে ৫৯ নম্বরে। আবরার এগিয়েছেন ৪৫ ধাপ, আর শাদাবের উন্নতি ২৪ ধাপ।
বোলারদের তালিকায় ৭২৩ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছেন নিউজিল্যান্ডের পেসার জ্যাকব ডাফি।
অলরাউন্ডারদের র্যাংকিং: শীর্ষে হার্দিক পান্ডিয়া
অলরাউন্ডারদের তালিকায় শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন ভারতের হার্দিক পান্ডিয়া। তার রেটিং পয়েন্ট ২৫২।
এমএইচএম