এশিয়া কাপ ফাইনালের পর সাংবাদিক সম্মেলনে বড় ঘোষণা দিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলি আগা। তিনি জানালেন, ফাইনালের ম্যাচ ফি তারা দান করবেন মে মাসে ভারতের হামলায় নিহত শিশু ও সাধারণ মানুষের পরিবারের জন্য।
আগা বলেন, ‘ভারত যা করেছে এই টুর্নামেন্টে, তা খুবই হতাশাজনক। আমাদের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে না মানে শুধু আমাদের অসম্মান করছে না, ক্রিকেটকেই অসম্মান করছে। ভালো দলগুলো এমন করে না। আমরা নিজেরা ট্রফি নিয়ে ছবি তুলেছি, কারণ আমাদের দায়িত্ব ছিল। আমরা পদক নিয়েছি। তবে ভারতের আচরণ অসম্মানজনক। ’
রোববার দুবাইয়ে ফাইনালে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা জেতে ভারত। তবে ম্যাচ শেষে আয়োজক এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) সভাপতি ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান, একই সঙ্গে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভির হাত থেকে ট্রফি নিতে অস্বীকৃতি জানায় ভারতীয় দল। প্রায় দেড় ঘণ্টা বিলম্বিত হয় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।
আগা জানান, ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব ব্যক্তিগতভাবে সৌজন্য বজায় রাখলেও দলের সিদ্ধান্তে তিনি বাঁধা পড়েছেন। তিনি বলেন, ‘যাদব টুর্নামেন্টের শুরুতে আমার সঙ্গে করমর্দন করেছিলেন, প্রেস কনফারেন্সেও করেছেন। কিন্তু ক্যামেরার সামনে এলে তারা হাত মেলায় না। আমি নিশ্চিত, তার ব্যক্তিগত ইচ্ছা থাকলে তিনি হাত মেলাতেন, তবে নির্দেশ মেনেছেন। ’
তিনি আরও বলেন, ‘এভাবে হাত না মেলানো ক্রিকেটের চেতনার জন্য ক্ষতিকর। আমি আগে কখনো এ দৃশ্য দেখিনি। এটা খুবই দুঃখজনক। আজ যা হয়েছে, তা আসলে আগের ঘটনাগুলোরই ধারাবাহিকতা। এসিসি সভাপতির কাছ থেকে ট্রফি না নিলে, ট্রফি নেবেনই বা কার কাছ থেকে?’
ফাইনালের আগে ও পরে ভারত ও পাকিস্তান খেলোয়াড়রা কেউই করমর্দন করেননি। আলাদা আলাদা দাঁড়িয়ে থেকেছেন। এ নিয়ে আগা বলেন, ‘আমি শুধু পাকিস্তান অধিনায়ক নই, একজন ক্রিকেটপ্রেমীও। ভারত কিংবা পাকিস্তানের বাচ্চারা টিভিতে এসব দেখছে। আমরা যদি এভাবে আচরণ করি, তাহলে তাদের কী বার্তা দিচ্ছি? আমাদের তো অনুপ্রেরণা দেওয়ার কথা। কিন্তু আমরা তা করতে পারিনি। আসলে এ প্রশ্নটা আমাকে নয়, ভারতের দায়িত্বশীলদের করা উচিত। ’
সাংবাদিক সম্মেলনের শেষ মুহূর্তে আগা দলের সামাজিক উদ্যোগের কথাও জানান, ‘একসঙ্গে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ফাইনালের ম্যাচ ফি আমরা দান করব মে মাসে ভারতের হামলায় নিহত শিশু ও সাধারণ মানুষের পরিবারগুলোর জন্য। ’
এমএইচএম