চলতি বছর সেপ্টেম্বর-নভেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপ। তবে ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক উত্তেজনা ও কূটনৈতিক টানাপোড়েনের প্রভাব পড়েছে এবারের আসরেও।
ছেলেদের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে যেতে ভারতের আপত্তির পর আইসিসির পক্ষ থেকে দুই দেশের ম্যাচগুলোর ক্ষেত্রে নিরপক্ষে ভেন্যু বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যে কারণে নারী বিশ্বকাপে নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে যুক্ত হয়েছে শ্রীলঙ্কা।
এশিয়ার এই দ্বীপদেশের রাজধানী কলম্বো এবার হোস্ট করবে পাকিস্তানের সাতটি গ্রুপ পর্বের ম্যাচ, যার মধ্যে ভারতের বিপক্ষেও একটি ম্যাচ রয়েছে। এছাড়া ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও খেলার সম্ভাবনা রয়েছে এখানে। যদি পাকিস্তান সেমিফাইনাল কিংবা ফাইনালে ওঠে, তাহলে সেগুলিও হবে কলম্বোতেই।
অন্যদিকে ভারতের ম্যাচগুলো হবে দেশের ভেতরে—বেঙ্গালুরু, গুয়াহাটি, ইন্দোর ও বিশাখাপত্তনম শহরে। বেঙ্গালুরুতে হবে উদ্বোধনী ম্যাচ ও ফাইনাল (যদি পাকিস্তান না পৌঁছায়)। পুরো আট দলের টুর্নামেন্টের পূর্ণাঙ্গ সূচি এখনো ঘোষণা করা হয়নি।
এই রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব নতুন নয়। ২০২৩ সালের পুরুষদের বিশ্বকাপে পাকিস্তান ভারতে খেললেও, এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারত পাকিস্তানে যায়নি। বদলে তাদের সব ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে দুবাইয়ে, যেখানে তারা টানা জিতে ট্রফিও জেতে।
এদিকে সাম্প্রতিক সীমান্ত সংঘর্ষ ও সামরিক উত্তেজনার ফলে সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আইপিএল ও পিএসএল। যদিও এখন আবার তা শুরু হয়েছে এবং আইপিএলের বিলম্বিত ফাইনাল হতে যাচ্ছে মঙ্গলবার।
তবে এই নিরপেক্ষ ভেন্যু নির্বাচন নিয়ে একটা বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে আবহাওয়া। অক্টোবর মাস শ্রীলঙ্কায় বর্ষাকালের অংশ, ফলে ম্যাচের সময় বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে।
আগামী বছরের নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও নিয়ে এসেছে নতুন ঘোষণা। উদ্বোধনী ম্যাচ হবে এডবাস্টনে ১২ জুন, সেমিফাইনাল দুটি হবে দ্য ওভালে এবং জমকালো ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুলাই, ঐতিহাসিক লর্ডসে।
এমএইচএম