শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বড় হারে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের পথে জটিল সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। শুধু জিতলেই হবে না, পরের ম্যাচে অন্য ফলাফলের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে লিটন দাসের দলকে।
তবে গতকাল (শনিবার) আবুধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েই টাইগাররা গড়েছে এক বিব্রতকর রেকর্ড—আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো শূন্য রানে দুই উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।
ব্যাটিং-বান্ধব উইকেট হিসেবেই পরিচিত আবুধাবির এই মাঠ। কিন্তু এমন উইকেটেই শুরুতে খেই হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারের শেষ বলে বোল্ড হন তানজিদ হাসান তামিম। নুয়ান থুসারার সুইংয়ে বিভ্রান্ত হয়ে স্টাম্প ভাঙান তিনি। সেই ওভারটিও মেডেন হয়।
পরের ওভারেও একই গল্প। দুষ্মন্ত চামিরার করা দ্বিতীয় ওভারে প্রথম তিন বল ডট খেলার পর পারভেজ হোসেন ইমন ক্যাচ তুলে দেন উইকেটকিপারের হাতে। তখনো রানের খাতা খোলেনি বাংলাদেশ। ফলে বিশ্বক্রিকেটে প্রথমবারের মতো দুই পরপর মেডেন ওভারে দুটি উইকেট হারানোর নজির গড়ে বসে টাইগাররা।
এর আগে পূর্ণ সদস্য দলের ক্রিকেটে আটবার শূন্য রানে দুই উইকেট পড়েছিল, তবে দুই ওভারে মেডেনের সঙ্গে এমনটা ঘটেনি। জিম্বাবুয়ে ২০১০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম দুই ওভার মেডেন খেললেও হারিয়েছিল কেবল একটি উইকেট।
বাংলাদেশের ইনিংস তখন ৫৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধসে পড়েছিল। শেষ পর্যন্ত শামীম পাটোয়ারী (৪২) ও জাকের আলি (৪১*) দলকে লজ্জার গহ্বর থেকে কিছুটা টেনে তুললেও ১৩৯ রানের বেশি উঠতে পারেনি। জবাবে শ্রীলঙ্কা ১৪.৪ ওভারে ৬ উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নেয়।
চলতি বছরের শুরুতে পাকিস্তানও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এমন বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছিল। ক্রাইস্টচার্চে প্রথম ওভারে মেডেন উইকেট দেওয়ার পর দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে একটি সিঙ্গেল নিয়ে তারা রেকর্ড এড়ালেও নাম লিখিয়েছিল লজ্জার তালিকায়।
এছাড়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত প্রথম দুই ওভার মেডেন হওয়ার রেকর্ড মাত্র ৬টি ম্যাচে ঘটেছে। ২০১০ সালের পর আবারও সেই তালিকায় নাম লেখাল বাংলাদেশ।
এমএইচএম