ইমাম-উল-হক ও শান মাসুদের দারুণ দুটি অর্ধশতক দৃঢ় ভিত গড়ে দিয়েছিল পাকিস্তানকে। কিন্তু সেই ভিত ভেঙে ৩৬ রানের মধ্যে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফেরে দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রথম দিনের খেলা শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৩১৩ রান। রিজওয়ান ১০৭ বলে ৬২ রানে অপরাজিত, যেখানে আছে দুটি ছক্কা ও দুটি চার। অন্যপ্রান্তে ৮৩ বলে ৫২ রানে ব্যাট করছেন সালমান, যিনি ইনিংসে মেরেছেন এক ছক্কা ও দুই চার।
লাহোরে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে পাকিস্তান। ইনিংসের প্রথম ওভারেই কাগিসো রাবাদার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন আব্দুল্লাহ শফিক। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি তিনি। উইকেট ছিল শুষ্ক, দিন গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ফাটল ধরা শুরু হয় পিচে। শুরুতে পেসারদের জন্য সামান্য সুবিধা থাকলেও ইমাম ও মাসুদ তা সামলে নিয়ে জুটি গড়েন দৃঢ় হাতে।
প্রথম সেশনে স্পিনারদের হতাশ করে একশ রান তুলে ফেলে পাকিস্তান। ৬৫ বলে ফিফটি করেন ইমাম। বিরতির পর মাসুদ পঞ্চাশে পৌঁছান ৯৩ বলে। এরপরই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার দিকেই।
প্রেনেলান সুব্রায়েনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরেন মাসুদ। তাতে ভাঙে ১৬১ রানের দুর্দান্ত জুটি— দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাকিস্তানের দ্বিতীয় উইকেটে যৌথভাবে সেরা পার্টনারশিপ। মাসুদ ফেরেন ১৪৭ বলে ৯ চার ও ১ ছক্কায় ৭৬ রানে।
এরপর নামেন বাবর আজম। শুরুতে শূন্য রানে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান তিনি, এরপর কিছুটা সাবলীলভাবে খেললেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। অন্য প্রান্তে দারুণ খেলছিলেন ইমাম। কিন্তু চা-বিরতির ঠিক আগে শেষ ওভারে পরপর দুই বলে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে পাকিস্তান।
সেনুরান মুথুসামির বলে শর্ট লেগে টনি ডি জর্জির হাতে ক্যাচ তুলে দেন ইমাম। আক্ষেপের এক ধাপ দূরে থেকে থামলেন ৯৩ রানে, ১৫৩ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় সাজানো ইনিংসটি ছিল তার। পরের বলেই ফিরতি ক্যাচ দিয়ে গোল্ডেন ডাকের শিকার হন সাউদ শাকিল।
তৃতীয় সেশনের শুরুতে রিভিউ নিয়ে বাবর আজমকে এলবিডব্লিউ করেন সাইমন হার্মার। ৩৬ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল পাকিস্তান।
তবে এরপর দলকে টেনে তোলেন রিজওয়ান ও সালমান। দিনশেষে ৩০ ওভার পার করে তারা যোগ করেন ১১৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। তাদের দৃঢ়তায়ই বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে গেছে পাকিস্তান।
আরইউ