শারজা: শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই সেশন হাতে রেখে ৩০২ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে গেল পাকিস্তান। টেস্ট সিরিজে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ভাগ বসাল তারা।
শ্রীলঙ্কা: প্রথম ইনিংস- ৪২৮/৯ ডি., দ্বিতীয় ইনিংস- ২১৪/১০
পাকিস্তান: প্রথম ইনিংস- ৩৪১/১০, দ্বিতীয় ইনিংস- ৩০২/৫ (৫৭.৩ ওভার)
ফল: পাকিস্তান জয়ী ৫ উইকেটে
পাঁচ উইকেটের বিনিময়ে ১৩৩ রানে শেষদিন সকালে মাঠে নামে শ্রীলঙ্কা। ৬ রানে প্রসন্ন জয়াবর্ধনে ও ১৪ রানে অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ব্যাটিং ক্রিজে নামেন। এদিন ৫৬ রান যোগ করলে এই জুটি ভাঙে। ৩১ রানে মোহাম্মদ তালহার দ্বিতীয় শিকার হন ম্যাথুস।
প্রসন্ন এরপর এগিয়ে নিতে থাকেন দলকে। কিন্তু ষষ্ঠ ফিফটি থেকে এক রানের আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ৮৮ বলে ৪৯ রানে তাকে মাঠছাড়া করেন সাঈদ আজমল।
এর আগে আব্দুর রেহমানের স্পিনে ৯১তম ওভারে পরপর দিলরুয়ান পেরেরা ও রঙ্গনা হেরাথ আউট হন। ৩ রানে শামিন্দা এরাঙ্গা আজমলের কাছে আউট হলে গুটিয়ে যায় লঙ্কানরা।
রেহমান দ্বিতীয় ইনিংসে সবচেয়ে বেশি চার উইকেট নেন। তিনটি করে পান তালহা ও আজমল।
মধ্যাহ্নবিরতির পর জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৯৭ রানের মধ্যে তিন উইকেট হারায় পাকিস্তান। কিন্তু সরফরাজ আহমেদের সঙ্গে ৮৯ ও মিসবাহর সঙ্গে ১০৯ রানের জুটি গড়ে দলকে আকাঙ্ক্ষিত জয় এনে দেন আজহার।
অবশ্য পঞ্চম টেস্ট শতক হাঁকিয়ে জয় থেকে সাত রান দূরে থাকতে আউট হন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ১৩৭ বলে ১০৩ রান আসে তার ব্যাটে। মিসবাহ টানা দ্বিতীয় ফিফটি হাঁকিয়ে অপরাজিত ছিলেন। ক্যারিয়ারের ২৫তম হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া পাকিস্তানি অধিনায়ক ব্যক্তিগত ৬৮ রানে টিকে ছিলেন। সরফরাজের ৪৮ রানও দারুণ অবদান রাখে।
এই ইনিংসে তিন উইকেটি নেন লঙ্কান বোলার সুরাঙ্গা লাকমল।
বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, ২০ জানুয়ারি ২০১৪