ঢাকা: লর্ডসের ক্রিকেট মানেই নতুন কোন ইতিহাস রচনা করা। ক্রিকেটের তীর্থভূমি লর্ডসে ২০০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠীত হল মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) ও অবশিষ্ট বিশ্ব একাদশ মধ্যকার প্রীতি ম্যাচ।
অবশিষ্ট বিশ্ব একাদশ: ২৯৩/৭ (৫০ ওভার)
মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব: ২৯৬/৩ (৪৫.৫ ওভার)
ফল: এমসিসি সাত উইকেট জয়ী
এমসিসির হয়ে খেলেছেন শচিন টেন্ডুলকার, ব্রায়ান লারা, রাহুল দ্রাবিড়ের মতো বড় তারকারা। কিন্তু এদের কারো ব্যাট জ্বলে উঠতে পারেনি। জ্বলে উঠেছে অস্ট্রেলিয়ার এ্যারোন ফিঞ্চের ব্যাট। প্রীতি ম্যাচে ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস (১৮১*) খেলে বসলেন। অসি দলের হয়ে ২৩ ম্যাচে তিনটি শতক ও দুটি অর্ধশত রয়েছে তার। তবে অসি দলে টেস্ট সুযোগ করে নিতে পারেনি। ওপেনিংয়ে নেমে ৪৫.৫ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করেন।
ক্রিকেট ঈশ্বর শচিন টেন্ডুলকার ৪৫ বলে ৪৪ রান করে মুত্তিয়া মুরালিধরনের বলে বিদায় নেন। শচিন ও ফিঞ্চের ১০৭ রানের জুটি ভাঙ্গেন অফস্পিনার মুরালিধরন। অপর কিংবদন্তি ব্রায়ান লারা ৩৮ বলে ২৩ রান করেন। শিবনরায়ণ চন্দরপল ৩৭ রানে ফিঞ্চের সঙ্গে অপরাজিত ছিলেন।
২৫ বল হাতে রেখে সাত উইকেটে জয়ের লক্ষ্যে পৌছায় এমসিসি।
এর আগে অবশিষ্ট বিশ্ব একাদশ টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। ব্যাটিংয়ের শুরুতে আশার আলো দেখালেও বেশি দূর এগুতে পারেনি। অ্যাডাম গিলক্রিস্ট ও বীরেন্দার শেবাগের উদ্বোধণী জুটিতে আঘাত হানেন ব্রেট লি। দলীয় ৫৪ রানে দুই ওপেনারকে হারায় বিশ্ব একাদশ।
শেবাগ ২৪ বলে ২২ রান করে সাজ ঘরে ফিরেন। ২১ বলে ২৯ রান করে সাঈদ আজমলের ঘূর্ণির ফাঁদে আটকে যান গিলক্রিস্ট।
মাত্র ১৪ রানে ব্যবধানে ৫ উইকেট হারায় বিশ্ব একাদশ। ৫৪ রান থেকে ৬৮ রান পর্যন্ত যেতে পাঁচজন ফিরেন সাজঘরে। বাংলাদেশের তামিম ইকবাল ৬ বলে এক রান করেন। কেভিন পিটারসেন ১৩ বলে ১০ রান করে সাঈদ আজমলের বলে স্ট্যাম্পিং হন।
বুম বুম আফ্রিদি দুই বলে (০) রানে থামেন। পল কলিংউড ৪৪ রানে ইনিংস খেলে ব্রেট লি বলে দ্রাবিড়ের কাছে বল তুলে দেন।
অবশিষ্ট বিশ্ব একাদশের হয়ে সেরা ইনিংস খেলেন যুবরাজ সিং। খাদের কিনারা থেকে দলকে টেনে নিয়ে যান প্রায় তিন রানের দিকে। ৬ ছক্কা ও ৮ চারের বিনিময়ে ১৩৪ বলে ১৩২ রান করে টেন্ডুলকারের বলে আউট হন যুবরাজ সিং।
পিটার সিডল ৩৩ রানে ও অধিনায়ক শেন ওয়ার্ন ৩ রানে উইকেটে অপরাজিত ছিলেন।
এমসিসির পক্ষে বল হতে চারটি উইকেট নেন সাঈদ আজমল, দু’টি নেন ব্রেট লি ও একটি পান শচিন।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৩ ঘণ্টা, ৬ জুলাই ২০১৪