ঢাকা: বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচটি তখনও শুরু হয়নি। হেডফোন দিয়ে খাবার পরিবেশন করছেন মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত পিয়াসা হোটেল কর্মচারী সুমন।
শুধু সুমন নন, দোকান মালিক আরিফুল আলমের কানেও হেডফোন। বাংলানিউজকে সুমন বলেন, খেলা দেখতে পারবো না তাই হুনতাছি (শুনছি)। আইজকা টাইগাররা জিতবোই।
বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) সকাল ১০টার কিছু সময় পর মোহাম্মদপুরের ফকির চাঁদ জেনারেল স্টোরের মালিক সোহেলের কানেও হেডফোন দেখা যায়। একহাতে চা বিক্রি করছেন, আরেক হাত দিয়ে হেডফোন ঠিক করছেন।
বাংলাদেশের খেলার বিষয়ে সুমন বলেন, ওরা (ভারত) মকা মকা বিজ্ঞাপনে আমাদের ছোট করছে। আজকে টাইগাররা ওদের মকা চিনাইবে। বাংলাদেশ অনেক ভালো করবে এমন প্রত্যাশা তার।
বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ নিয়ে ক্রিকেট জ্বরে কাঁপছে পুরো দেশ। কর্মব্যস্ততার মাঝে থেকেও খেলার সর্বশেষ তথ্য জানতে যে যার মতো উপায় বের করে নিচ্ছেন।
মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে লেগুনায় চড়ে মহাখালী যাচ্ছেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী মিলন মাহমুদ।
তিনি বলেন, আশা করছি বাংলাদেশ অনেক ভালো করবে, বাকিটা আল্লাহ ভরসা। বল ও ব্যাটিং লাইন ঠিক থাকলে ভারতকে হারানোর যোগ্যতা বাংলাদেশের আছে।
শুধু কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী নয় ক্রিকেট উন্মাদনায় কাঁপছেন জামালপুরের রিকশাচালক আব্দুর রাজ্জাক। খেলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মামা আজকে বাংলাদেশ জিতবো, আপনারা দোয়া করবেন।
এদিকে খেলা উপলক্ষে দুপুরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে ভূনা খিচুড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাংলাদেশ-ভারতের খেলা ঘিরেই যত আয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৫