আইসিসি’র ম্যাচ রেফারি রিচি রিচার্ডসনের সামনে শুক্রবার এক উত্তপ্ত শুনানিতে নিজেদের পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়েছেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার হারিস রউফ এবং সাহিবজাদা ফারহান। ভারতের বিপক্ষে রাজনৈতিক অঙ্গভঙ্গি করার অভিযোগ তীব্রভাবে অস্বীকার করে তারা উল্টো ম্যাচ রেফারিকেই কঠিন প্রশ্নের মুখে ফেলেন।
এশিয়া কাপের সুপার ফোরের ম্যাচে এই দুই ক্রিকেটারের 'উসকানিমূলক অঙ্গভঙ্গি'র বিরুদ্ধে 'কঠোর ব্যবস্থা' নেওয়ার জন্য আইসিসির কাছে দাবি জানিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুনানিতে রউফকে তার ‘৬-০’ হাতের ইশারা এবং ভারতীয় দর্শকদের সামনে জেট-ক্র্যাশ ধরনের উদযাপন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি অভিযোগের ভিত্তি নিয়েই পাল্টা প্রশ্ন তোলেন। ম্যাচ রেফারিকে তিনি সরাসরি জিজ্ঞাসা করেন, ‘আপনিই বলুন ৬-০ মানে কী?’
প্রতিবেদনে বলা হয়, রউফের এই প্রশ্নে ম্যাচ রেফারি চুপ হয়ে যান এবং কোনো উত্তর দিতে পারেননি।
রউফ তার লিখিত জবাবেও নিজের অবস্থানে অটল থেকে বলেন, ‘অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ নেই। ’
যখন ম্যাচ রেফারি বলেন যে রউফের অঙ্গভঙ্গি ‘হয়তো অন্য কিছুর দিকে ইঙ্গিত করছিল’, তখন এই ফাস্ট বোলার পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘আপনিই বলুন আমি কিসের দিকে ইঙ্গিত করছিলাম?’
রউফ জোর দিয়ে বলেন, তিনি বারবার যা করেছেন তা শুধুমাত্র ‘ভক্তদের উদ্দেশ্যেই ছিল, অন্য কিছু নয়’
অন্যদিকে, অর্ধশতক করার পর ‘গান-ফায়ার’ উদযাপনের জন্য অভিযুক্ত সাহিবজাদা ফারহান তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ এবং এর পেছনে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকার বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেন।
তিনি নিজের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন, ‘এই উদযাপন রাজনৈতিক প্রকৃতির ছিল না; আমি ভারতকে লক্ষ্য করে এই উদযাপন করিনি। ’ তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন যে এই ধরনের উদযাপন পশতুন সংস্কৃতির একটি ঐতিহ্য।
দুই ক্রিকেটারই রিচি রিচার্ডসনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আইসিসি কোড অফ কন্ডাক্টের শুনানিতে জোরালোভাবে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেন এবং লিখিত জবাব জমা দিয়ে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। উল্লেখ্য, বিসিসিআইয়ের অভিযোগে বলা হয়েছিল যে দর্শকরা ‘কোহলি, কোহলি’ বলে চিৎকার করার পর রউফ 'জেট ক্র্যাশ' এবং ‘৬-০’ চিহ্ন দেখান।
এমএইচএম