ঢাকা: চতুর্থ দিন শেষে ড্রয়ের পথেই ছিল লর্ডস টেস্ট। কিন্তু, শেষ দিনে ইংল্যান্ডের বোলারদের সামনে রীতিমত অসহায় আত্মসমর্পণ করে নিউজিল্যান্ড।
স্কোর:
ইংল্যান্ড – ৩৮৯, ৪৭৮
নিউজিল্যান্ড – ৫২৩, ২২০
আগের দিনের করা ৬ উইকেটে ৪২৯ রান নিয়ে পঞ্চম ও শেষ দিনে ব্যাটিংয়ে নামে দুই ইংলিশ ওপেনার অ্যালিস্টার কুক ও মঈন আলী। এগার ওভার খেলে ৪৯ রান যোগ করতেই ৪৭৮ রানে অলআউট হয় স্বাগতিকরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৬২ রান করেন অধিনায়ক কুক। জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৪৫ রান। হাতে ছিল অন্তত ৭৭ ওভার।
কিউইদের হয়ে ট্রেন্ট বোল্ট একাই নেন পাঁচ উইকেট। টিম সাউদি ও ম্যাট হেনরি দু’টি করে উইকেট লাভ করেন।
শেষ দিনে এতো রান তাড়া করে জেতাটা অনেকটা অসম্ভবই বলা যায়। তাই ড্র করাই হয়তো কিউইদের প্রধান লক্ষ্য ছিল। কিন্তু, নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে রানের খাতা না খুলতেই দুই ওপেনারের উইকেট হারায় ব্ল্যাক ক্যাপসরা। এক পর্যায়ে দলীয় ৬১ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেটের পতন ঘটলে ইংলিশদের সামনে তখন জয়ের হাতছানি।
ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে বিজে ওয়াটলিং ও কোরি অ্যান্ডারসন ১০৭ রানের পার্টনারশিপ করে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন। কিন্তু, দলীয় ১৬৮ রানের মাথায় প্রথমে ওয়াটলিং (৫৯) ও ছয় রান যোগ হতেই অ্যান্ডারসন (৬৭) আউট হলে কিউইদের ম্যাচ বাঁচানোর শেষ আশাটুকুও ভেস্তে যায়। ২২০ রানেই তাদের ইনিংস গুটিয়ে যায়।
ইংল্যান্ডের হয়ে স্টুয়ার্ট ব্রড ও স্টোকস তিনটি করে উইকেট লাভ করেন।
ম্যাচ সেরা হন বেন স্টোকস। এই ইংলিশ অলরাউন্ডার ব্যাট হাতে প্রথম ইনিংসে ৯২ ও দ্বিতীয় ইনিংসে শতক হাঁকান। আর বল হাতে প্রথম ইনিংসে উইকেট না পেলেও শেষ ইনিংসে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি উইকেট নিয়ে দলের জয়ে বিশেষ অবদান রাখেন।
উল্লেখ্য, ২৯ মে দু’দলের মধ্যকার দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৪ ঘন্টা, মে ২৬, ২০১৫
আরএম