মিরপুর থেকে: গত বছর বাংলাদেশ সফরে এসেছিল জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দল। সেবার তিন ম্যাচের টেস্ট ও পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেললেও ‘পুরোপুরি ধবলধোলাই’ হয়ে ‘একেবারে রিক্ত হস্তে’ দেশে ফিরতে হয়েছিল তাদের।
দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টির শেষ ম্যাচে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বিকেল ৫টায় মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে। ইতোমধ্যে ১-০তে লিড নিয়েছে টাইগাররা।
এবারও ওয়ানডে সিরিজে লাল-সবুজের পতাকাধারীদের হাতে ‘ধবলধোলাই’ হতে হয়েছে আফ্রিকান দলটিকে। টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে হেরেও ‘ধবলধোলাই’ হওয়ার শঙ্কায় পুড়ছে সফরকারীরা।
২০১৫ সালটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে বাংলাদেশের ক্রিকেট অঙ্গনে। চলতি বছরই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছে টাইগাররা। এপরপর ইতিহাস গড়ে পাকিস্তান, ভারত আর দক্ষিণ আফ্রিকাকে ওয়ানডে সিরিজে হারিয়ে জিম্বাবুয়েকেও ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইট করেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের আগে এই জিম্বাবুয়েকে ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ। সাফল্যমণ্ডিত একটা বছরের শেষটাও বর্ণিলভাবে শেষ করতে চায় স্বাগতিকরা।
এ ম্যাচটি টাইগারদের জন্য হবে আরেকবার অতিথিদের পুরোপুরি ‘ধবলধোলাই’ করে ‘রিক্ত হস্তে’ ফিরিয়ে দেওয়ার লড়াই, আর জিম্বাবুয়ের জন্য হবে দেশে ফিরতে ‘সান্ত্বনা পাওয়ার’ লড়াই।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচটি জিতেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে জিততে পারলে কোনো টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়া দলের বিপক্ষে প্রথবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজে (একের অধিক ম্যাচ) হোয়াইটওয়াশ করার স্বাদ নিতে পারবে টাইগাররা। এর আগে ২০১২ সালের জুলাইয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ ৩-০তে হারিয়েছিল আয়ারল্যান্ডকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, ১৫ নভেম্বর ২০১৫
এমআর