ঢাকা: তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচেও জয় পেয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সিরিজের শেষ ম্যাচে ১৬ রানের জয় নিয়ে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ‘হোয়াইটওয়াশের’ লজ্জা দিল মেহেদি হাসান মিরাজের দল।
ব্যাটিংয়ে দারুণ পারফর্ম করে শতক তুলে নেন টাইগার ওপেনার সাইফ হাসান। আর বোলিংয়ে একাই ৫ ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে টাইগার যুবাদের সিরিজ জিততে ভূমিকা রাখেন সঞ্জিত সাহা।
এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জেতা বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে মাঠে নেমে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। টাইগার যুবারা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৩৫ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ৪৯.৫ ওভারে ২১৯ রানেই গুটিয়ে যায় ক্যারিবীয় যুবারা।
বাংলাদেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া যুব বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে ক্যারিবীয় যুবাদের সঙ্গে সিরিজ খেলতে নামে মেহেদি হাসান মিরাজের দল। প্রথম ও দ্বিতীয় ওয়ানডেতে হেসে-খেলে বিশাল ব্যবধানে সফরকারীদের হারিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা। ফলে, তৃতীয় ম্যাচে ক্যারিবীয়দের হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্যেই মাঠে নামে টাইগাররা।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনার জয়রাজ শেখ ব্যক্তিগত ৯ রান করে বিদায় নেন। তবে, আরেক ওপেনার সাইফ হাসান ১০৭ রানের অপরাজিত এবং দুর্দান্ত একটি ইনিংস খেলেন। শতক হাঁকানো তার ইনিংসটি সাজানো ১৪৭ বলে। ১১টি বাউন্ডারির সঙ্গে তার ইনিংসে ছিল তিনটি ছক্কা।
তিন নম্বরে নামা জাকির হাসান এক রান করে বিদায় নেন। আর চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জাকের আলি ২৪ রান করেন। তৃতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন দলপতি মেহেদি হাসান মিরাজ। ৬ বল মোকাবেলা করে রান তোলার আগেই ফেরেন তিনি।
মিডল অর্ডারে ব্যাটিংয়ে নেমে শফিউল হায়াত রান আউট হওয়ার আগে খেলেন ৬১ রানের অসাধারণ একটি ইনিংস। ৬৯ বলে সাজানো তার ইনিংসে ছিল ৯টি বাউন্ডারি। এছাড়া সাঈদ সরকার ৮, আরিফুল ইসলাম ৩ রান করেন। ৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন মেহেদি হাসান রানা।
ক্যারিবীয়দের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন ওডিয়ান স্মিথ, ক্রিস্টান এবং গিডরন পোপে।
২৩৬ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের যুবারা। ওপেনিং জুটিতেই ৮২ রান তুলে ফেলে ক্যারিবীয় দুই ওপেনার। তেভিন ইমলাচ ৩৮ ও গিডরন পোপে ৫৭ রান করে বিদায় নেন।
তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা দলপতি সিমরন হেতমেয়ার ৫ রান করে সঞ্জিত সাহার বলে বোল্ড হন। তবে, চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা অভিষিক্ত কেসি কার্টি খেলেন ৪২ রানের ইনিংস। তার ৭৯ বলে সাজানো ইনিংস সঞ্জিত সাহার বলে বোল্ড হওয়ার মধ্যদিয়ে থেমে যায়। শহীদ ক্রুকস ৯ রান করে বিদায় নেন। তবে, ২৪ বলে ২৩ রান করে সফরকারীদের জয়ের দৌঁড়ে রাখেন গোলিই। তাকেও ফিরিয়ে দেন ডানহাতি অফব্রেক বোলার সঞ্জিত সাহা।
এরপর এক রান করা সামার স্প্রিংগারকেও বোল্ড করে সাজঘরে পাঠান সঞ্জিত। তার অফব্রেকে দিশেহারা হয়ে জোসেফ এক রান করে বিদায় নেন। তাকেও বোল্ড করেন এই টাইগার যুবা। শেষ অবধি এক বল বাকি থাকতে ২১৯ রানেই গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৫টি উইকেট নেন সঞ্জিত। ১০ ওভার হাত ঘুরিয়ে তিনটি মেডেনসহ মাত্র ২১ রান খরচায় তিনি ৫টি উইকেট দখল করেন। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন আবদুল হালিম, সাঈদ সরকার এবং আরিফুল ইসলাম। একটি উইকেট পান টাইগারদের দলপতি মেহেদি হাসান মিরাজ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, ১৬ জানুয়ারি ২০১৬
এমআর
** সাইফের শতক, যুবাদের লক্ষ্য ‘হোয়াইটওয়াশ’