খুলনা: ক্রিকেট যেন উচ্ছ্বাস, আনন্দ, ধ্যান-জ্ঞান হয়ে গিয়েছে খুলনাবাসীর কাছে। খুলনার শিক্ষাঙ্গন থেকে চায়ের দোকান, মার্কেট, অফিস-আদালত, বাস-ট্রেন সবখানেই ক্রিকেট আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
ওয়ালটন টি-টোয়েন্টি সিরিজের বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের চারটি ম্যাচকে কেন্দ্র করে ‘রয়েল বেঙ্গল টাইগার’ ও সাদা সোনা হিসেবে খ্যাত ‘চিংড়ির’ ভূমি শিল্প ও বন্দর নগরী খুলনা পরিণত হয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের মিলন মেলায়। এ সিরিজকে সামনে রেখে নগরীর সৌন্দর্যবর্ধনেও পিছিয়ে ছিলো না খুলনাবাসী। ক্রিকেটপ্রেমী অতিথিদের পরম উষ্ণতায় বরণ করে নিয়েছে খুলনাবাসী। খেলা চলাকালে এখানকার মানুষ-জনের উচ্ছ্বাস দেখেই বোঝা গেছে তারা কতোটা ক্রিকেটপ্রেমী।
শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় ওয়ালটন টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাঙ্গ হচ্ছে ক্রিকেটের এ মিলন মেলার। বিদায়ের ক্ষণ ঘনিয়ে আসায় খুলনাবাসীর মনে প্রশ্ন জেগেছে, রূপসা পাড়ের শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে আবার কবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে?
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সোহান বাংলানিউজকে বলেন, আন্তর্জাতিক ভেন্যু হিসেবে সব সুবিধাই রয়েছে এ স্টেডিয়ামের। তারপরও দীর্ঘদিন পর পর খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এটা খুলনাবাসীর জন্য দুঃখজনক।
খুলনা আইটি’র প্রিন্সিপাল শীলা দীপ্ত গাইন বলেন, ক্রিকেটের সঙ্গে খুলনার মানুষের নাড়ির সম্পর্ক। জাতীয় দলের অধিকাংশ খেলোয়ারের বাড়ি খুলনা বিভাগে। বিশ্বমানের স্টেডিয়াম থাকার পরও এখানে ম্যাচ না দিয়ে বরাবরই খুলনাবাসীকে বঞ্চিত করা হয়ে থাকে। বিসিবি পরিচালক শেখ সোহেল না থাকলে হয়তো খুলনা খেলাই পেতো না।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, খুলনায় ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ায় আন্তর্জাতিকভাবে এ শহর পরিচিতি পেয়েছে। বেড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি। খুলনার মানুষ ক্রিকেট অন্তঃপ্রাণ। ক্রিকেটের আসর বসলেই এই শহরের মানুষ নাওয়া-খাওয়া পর্যন্ত ভুলে যায়।
তিনি আরও বলেন, খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে যে কোনো খেলায় দর্শকের ঢল নামে। শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী, ছাত্র-শিক্ষক এমনকি বয়স্করা- কেউই বাদ যান না, সবাই ছোটেন স্টেডিয়ামে। সবাই মেতে ওঠেন প্রাণের উৎসবে।
ক্রিকেটপ্রেমীদের শহর খুলনায় বেশি বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের দাবি জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৫
এমআরএম/আরএম