চট্টগ্রাম থেকে: অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে দারুণ অলরাউন্ড পারফর্ম দেখিয়ে ৯৭ রানের বিশাল জয় পেল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে টাইগার যুবারা আট উইকেট হারিয়ে ২৪৬ রান করে।
২৪৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে টাইগার যুবাদের অসাধারণ বোলিংয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে ইংলিশ তরুণরা। শূন্য রানেই হারিয়ে ফেলে নিজেদের তিন উইকেট। ১৫ রানে চতুর্থ উইকেট হারানো কমলা শিবিরের এরপর শুরু হয় আসা-যাওয়ার মিছিল। মাঝে কালাম টেইলর ও স্যাম কারান স্বাগতিকদের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়ান।
তবে টেইলরকে ৩৬ রানে বোল্ড করে প্যাভিলিওনে ফেরান আরিফুল ইসলাম। পরে কারান ২৯ রানে মেহেদি হাসান রানার বলে আউট হন। অষ্টম উইকেটে নামা ব্র্যাড ওয়ার্নার ৪১ রান করে শেষ দিকে ইংলিশ শিবিরে কিছুটা ভরসা দেন। কিন্তু রানার তৃতীয় শিকারে তিনিও প্যাভিলিওনের পথ ধরেন। শেষ দিকে লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানরা দলের জন্য কিছুটা প্রতিদান রাখলেও সেটি ইংলিশ যুবাদের হার এড়াতে পারেনি।
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বোলারদের মধ্যে তিনটি করে উইকেট পান অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ ও রানা। আর দুটি উইকেট নেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। একটি করে উইকেট পেয়েছেন সালেহ আহমেদ শাওন ও আরিফুল।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। তবে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো টাইগার যুবারা নিজেদের ইনিংস বড় করতে পারছিলো না। তাই দলীয় ৯১ রানে প্রথম সারির পাঁচ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে স্বাগতিকরা।
তবে ষষ্ঠ উইকেটে নামা সফিউল দলের হাল ধরেন। তিনি জাকের আলী ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের সঙ্গে দুটি কার্যকরী জুটি গড়ে দলকে বিপদ থেকে টেনে তোলেন। ১১১ বলে ছয়টি চার ও একটি ছয়ে ৬৮ রান করে ডেন লরেন্সের বলে আউট হন ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান।
ম্যাচে দারুণ অবদান রাখা জাকের আলীর ব্যাট থেকে আসে ৩৬ রান। শেষ পর্যন্ত লড়াই করে যাওয়া সাইফুদ্দিন ৩৫ বলে সাত চারে ৪৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। আর শেষ ওভারে সাইদ সরকার তিন বলে দুটি ছক্কার সাহায্যে ১৩ রান করলে ২৪৬ রানের ভালো পুঁজি পায় বাংলাদেশি তরুণরা।
ইংলিশ যুবাদের মধ্যে দুটি করে উইকেট পান সাকিব মাহমুদ, ব্র্যাড টেইলর ও লরেন্স। আর একটি উইকেট দখল করেন ম্যাক্স হোল্ডেন।
** ইংলিশ যুবাদের বিপক্ষে মিরাজদের সংগ্রহ ২৪৬
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, ২৫ জানুয়ারি, ২০১৬
এমএমএস