ঢাকা: সদ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আমির ও অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ হাফিজের মধ্যকার দ্বন্দ্বটা পুরোনো হয়ে যায়নি। তবে এরই মধ্যে আমিরের প্রতি সৌহার্দমূলক আচরণে হাফিজকেই এগিয়ে আসতে দেখলো ক্রিকেট বিশ্ব।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানের তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে এক উগ্র সমর্থকের বঞ্চনা থেকে আমিরকে রক্ষা করেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান হাফিজ।
বাউন্ডারিতে ফিল্ডিং করার সময় এক সমর্থক এক ডলার দেখিয়ে আমিরের প্রতি বাজে আহ্বান জানায়। লজ্জায় নিজের মাথা লুকোনোর চেষ্টা করেন আমির। এ সময় ব্যাপারটি লক্ষ্য করেন হাফিজ। তিনি দ্রুত এসে নিরাপত্তা কর্মীকে ব্যাপারটি জানান। নিরাপত্তা কর্মীরা সেই সমর্থককে সতর্ক করে দেন। ঝামেলা মিটে যায়। হাফিজ অবশ্য ব্যাপারটিকে জাতীয় ইস্যু হিসেবে উল্লেখ্য করেছেন। তার মতে এটি শুধুমাত্র আমিরের নয়, এটি ছিলো পাকিস্তানের অপমান।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পাঁচ বছরের বেশি সময় পর আবারও ফিরেছেন আমির। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের লর্ডসে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হন বাঁহাতি তরুণ পেসার আমির। মাঝে একই অভিযোগে জেলও খাটতে হয় প্রতিভাবান এ বোলারকে। তবে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফর্ম করেন তিনি। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দারুণ পারফর্ম করে নজর কাড়েন পাকিস্তানি নির্বাচকদের।
তবে জাতীয় দলে আমিরের প্রত্যাবর্তনে বাধ সাধেন সিনিয়র ক্রিকেটার হাফিজ ও ওয়ানডে অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহার। হাফিজ এর আগে বিপিএলে আমিরের সঙ্গে একই দলে খেলার প্রতি অনীহা প্রকাশ করেছিলেন। সে সময় তিনি জানান, ‘দেশের মান যে ক্রিকেটার নষ্ট করেছে তার সঙ্গে তিনি একই দলে খেলবেন না। ’ অবশেষে পিসিবি চেয়ারম্যান শাহরিয়ার খানের হস্তক্ষেপে সব ঝামেলা চুকিয়ে শেষ পর্যন্ত আমিরের সঙ্গে পাকিস্তান দলে খেলতে রাজি হন হাফিজ ও আজহার।
এদিকে পাঁচ বছর পর ওয়ানডে ক্রিকেটে ফিরে আমিরের পারফরম্যান্স ছিলো চোখে পড়ার মতো। ওয়েলিংটনের বেসিন রিসার্ভে ৮.১ ওভার বল করে মাত্র ২৮ রানের বিনিময়ে তুলে নেন কিউইদের মূলবান তিনটি উইকেট। যদিও ম্যাচটি পাকিস্তান বড় ব্যবধানে হেরে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, ২৬ জানুয়ারি, ২০১৬
এমএমএস