ঢাকা: অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে কানাডা অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে সাত উইকেটে হারিয়ে বড় জয় পেল পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল। কানাডার যুবাদের করা ১৭৯ রানের জবাবে ৪০.৫ ওভার শেষে তিন উইকেট হারিয়ে ১৮০ রান করে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।
সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে কানাডার দেয়া সহজ লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করে পাকিস্তান। দুই ওপেনার জিশান মালিক ও গওহার হাফিজ মিলে ৫১ রানের জুটি গড়েন। তবে ব্যক্তিগত ২০ রান করে আকাশ গিলের বলে আউট হন অধিনায়ক হাফিজ।
প্রথম উইকেটের ১৪ রান পর পাকিস্তান নিজেদের দ্বিতীয় উইকেট হারায়। মাত্র ছয় রান করে মামিক লুথাররের বলে আউট হয়ে প্যাভিলিওনে ফেরেন মুহাম্মদ আসাদ। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে সাইফ বাদারকে নিয়ে লক্ষ্যের দিকে এগোতে থাকেন ওপেনার মালিক। সাইফ ছয় রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন। ৭৫ বলে তিন চারে ৪৪ রান করে সুলেমান খানের বলে আউট হন তিনি।
অপরদিকে ১২২ বলে নয় চার ও এক ছয়ে ৮৯ রানের দুর্দান্ত একটি ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন মালিক। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও ওঠে তার হাতেই। অন্য ব্যাটসম্যান হাসান মোহসিন অপরাজিত থাকেন চার রানে।
এর আগে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভার শেষে সবক’টি উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান সংগ্রহ করে কানাডা অনূর্ধ্ব-১৯ দল। গ্রুপ ‘বি’তে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তান যুবাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে ব্যাটিংয়ে নেমে ধুঁকতে হয় কানাডা যুবাদের।
দলীয় মাত্র দুই রানে হাসান মোহসিনের বলে ওপেনার থুরসান্ত আনান্থারাজাহকে হারায় কানাডা। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে আমিশ তাপোলোকে নিয়ে ৬০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন ভাবিন্দু আদিহেতি।
কিন্তু এ জুটির দু’জনই শাহদাব খানের শিকার হন। তবে আদিহেতি আউট হওয়ার আগে ৫১ রানে দুর্দান্ত একটি ইনিংস খেলে যান। তাপোলোর ব্যাট থেকে আসে ২৮ রান।
এদিকে অধিনায়ক আবরাশ খান মিডলঅর্ডারে নেমে ৪৪ রানের দায়িত্বশীল এক ইনিংস খেলেন। তবে অপরপ্রান্তে ছিলো অন্য ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিল। সেই সঙ্গে রান আউটে কাটা পরেন কানাডার তিন যুবা।
পাকিস্তান যুবাদের মধ্যে হাসান খান ১০ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন। আর দুটি উইকেট পান শাহদাব খান। একটি করে উইকেট পান হাসান মোহসিন ও আহমেদ শফিক।
এর আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপের প্রথম ম্যাচে জয় পায় পাকিস্তান। আর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হেরে বসে কানাডা।
** কানাডা যুবাদের সংগ্রহ ১৭৮
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, ৩০ জানুয়ারি, ২০১৬
এমএমএস