কক্সবাজার থেকে: ‘স্কটল্যান্ড নতুন দল। ওদের সঙ্গে আমরা কখনো ম্যাচ খেলিনি।
কথাগুলো বাংলাদেশ অনূর্দ্ধ ১৯ দলের অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের।
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে কক্সবাজারের শেখ কামাল স্টেডিয়ামে অনুশীলন করে বাংলাদেশ দল। অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের অন্যতম এ জয়ের নায়ক।
৩১ জানুয়ারি (রোববার) বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে স্কটল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
শুধু স্কটল্যান্ড ম্যাচে দলের লক্ষ্য নিয়ে নয়, সাইফুদ্দিন কথা বলেছেন নিজের সর্ম্পকেও। প্রথম ম্যাচে অপরাজিত ১৭ রানের পাশাপাশি নিয়েছেন প্রতিপক্ষের তিন উইকেট। সাইফুদ্দিনকে তো নিজের সর্ম্পকে আজ কিছু বলতেই হবে।
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে দারুণ এক গুড লেংথ বলে উড়িয়েছেন উয়িন মালডারের উইকেট। এরপর সাইফুদ্দিন যে উদযাপনটা করেছেন তাতে যেমন ছিল উল্লাস, সঙ্গে ছিল ক্ষোভের বহিপ্রকাশও।
মালডারের সঙ্গে কি এমন হলো যে এভাবে উদযাপন করলেন। এমন প্রশ্নে বাংলাদেশ দলের এ অলরাউন্ডার বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা অনেক দিন ধরেই দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে খেলছি। তাই আমরা একে অপরকে চিনি। আমি যখন ওর বলে স্লগ ওভারে ব্যাটিং করছিলাম তখন কয়েকটা বল খেলতে পারিনি। এসময় বেশ কয়েকবার আমাদের মধ্যে চোখাচোখি হয়। তাই আমার ইচ্ছে ছিল আমি ওকে আউট করব। তার ওপর ওভারের প্রথম বলে ওর কাছে চার খাইছি। তখন উইকেট নেওয়ার জোরটা যেন আরও বেড়ে যায়। পরে তাকে আউট করে সেটা পূরণ হয়েছে’-এ আর কি।
স্কটল্যান্ড ম্যাচ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বাংলাদেশ দলের অন্যতম ভরসা বলেন, প্রথম ম্যাচটি জেতায় আমাদের দলের আত্মবিশ্বাস এখন তুঙ্গে। তবে পরের ম্যাচগুলো খাটো চোখে দেখছি না। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আমরা যে মনযোগ নিয়ে খেলেছি একই মনোযোগে আমরা স্কটল্যান্ডের বিপক্ষেও খেলবো।
উইকেট নেওয়ার পর দু’পা ফাঁক করে দু’হাত উপরের দিকে তুলে ধরা। এরপর অন্যদের এসে জড়িয়ে ধরা। বহুদিন ধরে পাকিস্তান টি টুয়েন্টি অধিনায়ক আফ্রিদির কল্যাণে এমন উদযাপন দেখে আসছে বিশ্ব।
উইকেট নেওয়ার পর সাইফুদ্দিনের উদযাপনটাও ঠিক যেন আফ্রিদিময়।
এবিষয়ে সাইফুদ্দিনের বক্তব্য, ‘অনেকেই বলেন উদযাপনটা আফ্রিদির মত করেই করি। আফ্রিদি ভাইয়ের খেলা ভালো লাগে। তবে সত্যি হলো উদযাপনটা আমি আমার মত করেই করি। ’
বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে একটু বড় জয়ই বাংলাদেশের প্রত্যাশা। তাই সাইফুদ্দিন বলেন, দ্বিতীয় পর্বে উঠতে হলে, রান রেটের একটা ব্যাপার থাকে। তাই আমরা চাই দ্বিতীয় ম্যাচে জয়টা একটু বড় হোক।
দল চাইলে যেকোন পজিশনে খেলতে রাজি সাইফুদ্দিন। তিনি বলেন, আমি মূলত ব্যাটসম্যান কাম পেস বোলার। টিম কম্বিনেশনের কারণে হয়তো কখনও ৭ অথবা কখনও ৮ নম্বরে ব্যাটিং করতে হচ্ছে। আমাকে যখন যেভাবে চাওয়া হয় আমি সেভাবে পারফর্ম করার চেষ্টা করি। যখন ব্যাটিং করি তখন ব্যাটিং নিয়েই ভাবি, আবার বোলিং করতে গেলে বোলিং নিয়েই ভাবি।
প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টনি ডে জরিকে আউট করেছেন মারাত্মক এক ইয়ার্কারে।
এমন মারাত্মক ইয়ার্কার আয়ত্বের রহস্যাটা কোথায় জানতে চাইলে সাইফুদ্দিন বলেন, ছোটকাল থেকেই পাড়ায় টেপ টেনিসে প্রচুর ক্রিকেট খেলতাম। এ বলে ইয়ার্কার বল করতে করতে অভ্যাস হয়ে গেছে। এখন ক্রিকেট বলে নিয়মিত ২০-২৫টা ইয়ার্কার বল করার চেষ্টা করি। এভাবেই ইয়ার্কারটা আয়ত্বে এসেছে।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ও নিজের লক্ষ্য সর্ম্পকে বলতে গিয়ে সাইফুদ্দিন বলেন, যেহেতু দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ, তাই চাইব অন্তত ফাইনাল পর্যন্ত খেলা। পাশাপাশি নিজের পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতাও ধরে রাখতে চাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৬
টিএইচ/আইএসএ/টিসি