ঢাকা: অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের গতবারের চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথম ম্যাচে হারিয়ে বেশ ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে টাইগার যুবারা। প্রোটিয়া যুবাদের বিপক্ষে কোনোরকম ঝাঁকুনি ছাড়াই ৪৩ রানে ম্যাচ জিতে নেয় মেহেদি হাসান মিরাজের দল।
রোববার (৩১ জানুয়ারি) বাংলাদেশের দ্বিতীয় ম্যাচের প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড-যাদের কিনা গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারতে হয়েছে নামিবিয়ার বিপক্ষে। চাপে থাকা স্কটিশদের এবারের প্রতিপক্ষ আসরের ফেভারিট বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
শক্তির বিচারে অসম লড়াই মনে হলেও এ ম্যাচকে ঘিরে থাকছে অন্যরকম এক রোমাঞ্চ। রেকর্ডের পাতায় চোখ বুলালে আপনাকে চোখ রাখতেই হবে বাংলাদেশ-স্কটল্যান্ড ম্যাচে। কারণ, বড় দুটি রেকর্ডের সামনে বাংলাদেশ যুবাদের দুই সেরা ক্রিকেটার।
তাদের একজন দলীয় অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ; অন্যজন সহ-অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত। যুবাদের ওয়ানডেতে ব্যাটিংয়ে সর্বোচ্চ রানের মালিক হওয়ার সুযোগ নাজমুলের সামনে। আর বল হাতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হওয়ার অপেক্ষায় মেহেদি।
যুব ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান পাকিস্তানি ক্রিকেটার সামি আসলামের। ৪০ ম্যাচে পাকিস্তানের ওপেনার করেন ১৬৯৫ রান। ঠিক দ্বিতীয় অবস্থানেই নাজমুল। ৫৩ ম্যাচে তার ১৬৩৪ রান। সামিকে ছাড়িয়ে যেতে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের এ ব্যাটসম্যানের প্রয়োজন আর ৬২ রান।
অন্যদিকে কালকের ম্যাচে তিন উইকেট নিলেই যুব ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হয়ে যাবেন মেহেদি হাসান। যুব ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত ৪৯ ম্যাচে ৭৩ উইকেট নিয়ে সবার উপরে পাকিস্তানের ইমাদ ওয়াসিম। ৭১ উইকেট নিয়ে ইমাদের পরই মিরাজের অবস্থান। পাকিস্তানি বাঁহাতি স্পিনারকে ছাড়িয়ে যাওয়ার অপেক্ষায় বাংলাদেশ যুব দলের অধিনায়ক।
মজার ব্যাপার হলো ব্যাটে-বলে দুই পাকিস্তানি ক্রিকেটারের রেকর্ড ভাঙার সামনে দুই বাংলাদেশি ক্রিকেটার। কালকের ম্যাচেও যদি রেকর্ডটি না ভাঙে সুযোগ থাকবে পরের ম্যাচগুলোতেও। কারণ সামি আসলাম ও ইমাদ ওয়াসিম বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের স্তর পেরিয়ে গেছেন অনেক আগেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘন্টা, ৩০ জানুয়ারি ২০১৬
এসকে/এমআর