ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

‘সাইফকে ওভাবে খেলাতে নিদের্শনা ছিল’

তাসনীম হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৬
‘সাইফকে ওভাবে খেলাতে নিদের্শনা ছিল’ ছবি:উজ্জল ধর/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কক্সবাজার শেখ কামাল স্টেডিয়াম থেকে:  টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে স্কটল্যান্ডের সঙ্গে সাইফ হাসান যেন ব্যাটিং করলেন কচ্ছপ গতিতে। এক পর্যায়ে ৫০ বলে সাইফের রান ছিল ১১।

ওয়ানডেতে কেন এমন ব্যাটিং সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক যেন সহযোদ্ধার পাশে দাঁড়ালেন ঢাল হয়ে।

এ বিষয়ে মেহেদি হাসান মিরাজের বক্তব্য, ‘উইকেটটা অনেক স্লো ছিল। এ উইকেটে যদি আমরা শট খেলি তাহলে আমাদের উইকেট পড়ে গেলে অনেক সমস্যায় পড়বো। দল থেকে নির্দেশনা ছিল আমাদের ১০ বা ১৫ ওভার পর্যন্ত উইকেটে টিকে থাকতে হবে। যদি তিন করেও রান আসে, ১৫ ওভারে ৪০-৪৫ কিংবা ৫০ রানও আসে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু উইকেট দেওয়া যাবে না। এরকম নির্দেশনা ছিল বলেই সাইফ এরকম ব্যাটিং করেছে। আর সে প্রথমদিকে ওভাবে ব্যাটিং করেছে বলেই পরবর্তীতে আমি আর শান্ত সহজে ব্যাটিং করতে পেরেছি। ’

‘সাইফ হাসান খুব ভালো প্লেয়ার। আমাদের এ টিমে যদি বলতে দেওয়া হয়, সবচেয়ে বেশি মারতে পারবে কে, পাওয়ারফুল স্টোক আছে কার-এর উত্তরে আসবে সাইফ হাসানের নাম। কিন্তু সে টিমের নির্দেশনা অনুযায়ী ওভাবে খেলেছে। তাকে নির্দেশনা দেওয়াই ছিল এক পাশ আগলে রাখতে। ’-সাইফের বিষয়ে যোগ করেন মেহেদি হাসান। অধিনায়ককে তো এরকইম হতে হয়।

২৫৭ কি নির্ভরযোগ্য স্কোর ছিল এমন প্রশ্নে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, আমরা যখন প্রথমদিকে উইকেটটা দেখি, তখন আমরা ধারণা করেছি এ উইকেটে ২২০ হলে আমরা জিতে যাব। এ উইকেটে ২২০ রান ২৭০ রানের সমান।

গত বিশ্বকাপেও প্রথম পর্বে দু’টো ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে হেরে রানরেটের ফাঁদে পড়ে বিদায় ঘণ্টা বেজেছিল বাংলাদেশের। কিন্তু এবার অত নিয়মের ফাঁদে পড়ছে না। নিশ্চিত হয়ে গেলো দ্বিতীয় রাউন্ড।

বাংলাদেশ দল এখন কতটা নির্ভার এমন প্রশ্নে অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা গত বিশ্বকাপে রানরেটে বাদ পড়েছিলাম। বিষয়টা আমাদের জন্য দুঃখজনক ছিল। এবার ইতিমধ্যেই দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হলো। আমাদের বেশ ভালো লাগছে। তবে এ পর্বে আরও একটা ম্যাচ আছে আমাদের। ওই ম্যাচটা আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জের। যদি ওই ম্যাচটা জিততে পারি তাহলে আমাদের জন্য কোয়ার্টার ফাইনাল ইজি হয়ে যাবে। সেমিফাইনালে ওঠার জন্য রাস্তা ফাঁকা হয়ে যাবে। কেননা ওই ম্যাচে জিততে পারলে আমরা কোয়ার্টারে নেপালকে পাব, আর ওই ম্যাচে হারলে ভারতকে পাব। তাই নামিবিয়ার সঙ্গে ম্যাচটা অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ ম্যাচটা ফাইনাল ধরলে চলে। ’

২ ফেব্রুয়ারি এই মাঠেই প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচে নামিবিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৬
টিএইচ/আইএসএ/টিসি/আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।