কক্সবাজার শেখ কামাল একাডেমি স্টেডিয়াম থেকে: বিশ্বকাপের ম্যাচগুলোকে যেন দুই সিরিজে ভাগ করেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচের সিরিজ, পরবর্তীতে কোয়ার্টার, সেমি ও ফাইনাল ম্যাচের আরও একটা তিন ম্যাচের সিরিজ।
বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে মঙ্গলবার নামিবিয়ার মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে কোয়ার্টারে পৌঁছে গেছে দু’দলই। তবে এ ম্যাচে নির্ভর করছে তাদের সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনালে কোন দল পড়ছে।
সোমবার সকালে কক্সবাজার শেখ কামাল একাডেমি মাঠে ঘাম ঝরিয়েছেন নামিবিয়া দল। বাংলাদেশ দলও হালকা পাতলা অনুশীলন করেছে। অনুশীলন শেষে বাংলাদেশ দলের বাহাতি স্পিনার সালেহ আহমদ শাওন গাজী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন।
শাওন গাজী বলেন, বিশ্বকাপকে আমরা সিরিজ বাই সিরিজ হিসেবে চিন্তা করছি। আমাদের ভাবনা আমরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যেভাবে সিরিজ খেলি, ওরকম সিরিজ খেলবো। বিশ্বকাপ যে খেলছি ওরকম টেনশন মাথায় নেবো না। আমরা বিশ্বকাপ খেলছি, চ্যাম্পিয়ন হতে হবে এরকম কোনো কিছু ভাবছি না। সিরিজে যেরকম নরমালি খেলি, সেভাবেই খেলছি।
বাংলাদেশ দল চিন্তা না করলে কি হবে। চলছে তো বিশ্বকাপ। তাই মাঠে নেমে কি এই ‘সিরিজ তত্ত্ব’ চিন্তা ধরে রাখা সম্ভব হয়? এই প্রশ্নে শাওনের চটপট জবাব-‘বিশ্বাস করলেই হয়, আত্মবিশ্বাসটাই প্রধান। ’
গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচেই দাপুটে জয়ে আত্মবিশ্বাস এখন তুঙ্গে বাংলাদেশ দলের। শাওনের কথায় উঠে আসে তা।
তিনি বলেন, ‘আমরা নিজেরা নিজেদের সেরা খেলাটা খেললে কাউকে হারানোটা কঠিন না। ’
এত আত্মবিশ্বাস আসে কোথা থেকে এমন প্রশ্নে শাওন বলেন, ‘আমরা অনেকদিন ধরে দলে আছি। সবাই অনেক ভালো টিমমেট। মাঠেও অনেক ভালো কিছু করছি। তাই আত্মবিশ্বাস অনেক বেশি। ’
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে আগে ব্যাটিং করলে বাংলাদেশ দলের প্রায় সময় টার্গেট থাকে ২৪০ রান করা। কিন্তু মিরপুরের ব্যাটিং উইকেটে ২৪০ রান তো তেমন বড় কিছুই না।
ওই মাঠে ম্যাচ খেলার সময়ও ২৪০ রান হয় তাহলে বোলারদের ওপর একটা বাড়তি চাপ কি তৈরি হয়ে যাবে না। ? এমন প্রশ্নে শাওন গাজী বলেন, ‘আমাদের বোলিং অ্যাটাক অনেক ভালো। তাই আমরা আশা করি যত ভালো উইকেটই হোক আমাদের বিপক্ষে প্রতিপক্ষ টিমের ২৪০ রান করতে যাওয়াটা বড় একটা বিষয় হয়ে যাবে। ’
বোলিংয়ে আসলে ব্যক্তিগত পরিকল্পনা কি থাকে? উইকেট নেওয়া, না রান চেক দেওয়া? কোনটা এই প্রশ্নের উত্তরে শাওনের জবাব, ‘আমি কখনো উইকেট ট্রাই করি না। সবসময় চিন্তা করি ১০ ওভার বোলিং করবো, ১০ ওভারে ২৫ রান দেব বা ২০ রান দেব। উইকেটের বিষয়টাতো বলা যায় না। ওটা তো ভাগ্যের বিষয়। ’
নামিবিয়া এর আগেই হুংকার দিয়ে রেখেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশকে হারিয়ে দেবে। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে বিশ্বকাপের মূল পর্ব থেকে বিদায় করে কোয়ার্টারে চলে গেছে তারা। এ আলোচনা তুলতেই শাওন বলেন, ‘তাদের এ হুংকারের বিষয়টা এখন মাথায় নিতে চাচ্ছি না। ’
সনজিতের সঙ্গে ভালো বোলিং পার্টনারশিপ ছিল শাওনের। কিন্তু অ্যাকশন অবৈধ হওয়ায় ইতিমধ্যেই বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেছে সনজিতের। সনজিত না থাকায় বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে শাওনকে। তবে শাওন বলেন এরকম কিছু বাড়তি দায়িত্ব আসেনি। আমি আমার মত খেলে যাব।
** মন ভালো করার ‘চিকিৎসক’ শাওন গাজী!
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৫
টিএইচ/আইএসএ/টিসি