ঢাকা: আর মাত্র ২টি উইকেট! তাহলেই যুবাদের আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হবেন জুনিয়র টাইগারদের অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। এমন রেকর্ডের হাতছানি নিয়ে গ্রুপপর্বে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নামিবিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামেন মিরাজ।
ইতোমধ্যে সেই মাইলফলক অর্জন করেছেন মিরাজ।
এর আগে ২০০৫ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের অনূর্ধ্ব-১৯ দলে ৪৯ ম্যাচ খেলা ইমাদ ওয়াসিম দীর্ঘ ৮ বছর ধরে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলার হিসেবে এ রেকর্ডটি নিজের দখলে রেখেছিলেন। এবার বাংলাদেশি স্পিনারের দাপটে রেকর্ডটি হারাতে হলো পাকিস্তানি স্পিনারকে।
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ২১তম ম্যাচের ১৬তম ওভারে মেহেদি হাসান মিরাজ ফেরান মিচেল ভ্যান লিনজেলকে। ব্যক্তিগত ৪ রান করে এলবির ফাঁদে পড়েন তিনি। এ উইকেট নিয়ে ইমাদ ওয়াসিমকে ছুঁয়ে ফেলেন মিরাজ। ইনিংসের ৩৩তম ওভারে ভ্যান উইককে এলবির ফাঁদে ফেলে মিরাজ হয়ে যান যুব ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির মালিক।
গ্রুপপর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে এ মাইলফলক অর্জনের সম্ভাবনা জেগেছিল মিরাজের। পাকিস্তানের ইমাদ ওয়াসিমের সর্বোচ্চ ৭৩ টি উইকেটের রেকর্ড ভাঙতে সে ম্যাচে মিরাজের প্রয়োজন ছিল তিনটি উইকেটের। কিন্তু ১টি উইকেট তুলে নিয়ে মোট ৭২ টি উইকেট নিয়ে থাকেন দুই নম্বরেই। ইমাদ ওয়াসিমকে ছুঁতে তখন তার প্রয়োজন ছিল আর মাত্র ১টি উইকেটের।
তবে, সে ম্যাচে যদি মিরাজ পুরো ১০ ওভারের কোটা শেষ করতেন তাহলে হয়তো রেকর্ডটি হতেও পারতো! কিন্তু তিনি করেন ৯ ওভার, যেখানে ২৭ রানে ১টি মেডেনসহ ওভারপ্রতি ৩ রান দিয়ে তুলে নেন একটি উইকেট।
সে ম্যাচেই টাইগারদের ইনফর্ম ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত পাকিস্তানের সামি আসলামকে টপকে যুব ওয়ানডের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েন। যুবাদের ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই শীর্ষে এখন বাংলাদেশি ক্রিকেটার।
অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ আগেই করে ফেলেছেন আরেকটি অনন্য রেকর্ড। টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে মিরাজ প্রথম যুব অধিনায়ক, যিনি বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয়বারের মতো দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১১০ ঘণ্টা, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
এমআর