কক্সবাজার থেকে: কক্সবাজারে অনুর্দ্ধ ১৯ বিশ্বকাপের ম্যাচ খেলতে এসে খেলোয়াড়েরা যে হোটেলে উঠেছেন তার ব্যালকনিতে দাঁড়ালেই দেখা মেলে বঙ্গপোসাগরের বিস্তির্ণ জলরাশির। কান পাতলেই শোনা যায় ঢেউয়ের গর্জন।
সোমবার বাংলাদেশ দলের অনুশীলন শেষে সমুদ্র সৈকতে যেতে না পারার সেই কথা বলেছিলেন দলের বাহাতি স্পিনার শাওন গাজী। মঙ্গলবার নামিবিয়াকে উড়িয়ে দিয়ে নির্ভার বাংলাদেশ দল যেনে সেই খেদটাই মেটাল।
ঘড়ির কাঁটা তখন বিকেল পৌনে চারটার ঘরে। বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা লাবনি পয়েন্ট হয়ে একে একে নেমে পড়লেন সমুদ্রে। প্রথমে স্বাভাবিকভাবেই জয় উদ্যাপন তো হলোই। পরে সবাই সমুদ্রের পানিতে গা ভেজালেন, হই হুল্লোড়ে মেতে ঢেউয়ের ওপর ভাসলেন। একে অপরকে ভিজিয়ে দিলেন ইচ্ছেমত। সমুদ্রকে পেছনে রেখে নানা ভঙ্গিতে ছবিও তুলে রাখলেন কেউ কেউ।
এসব তো বিচে ঘটা নিত্য ঘটনারই চিত্রায়ন।
কিন্তু কথায় আছে না, ঢেকি স্বর্গ গেলেও ধান ভানে। অবশেষে সেই কথার যথার্থতা পাওয়া গেলো। জুনিয়র টাইগারেরা ঝিনুক শামুক ভরা বালুর চরে ঢেউয়ের সঙ্গে তো নেচেছেনই। হাঁটু সমান পানির মধ্যে হয়ে গেল অনুশীলনও। দলের ফিজিওর নেতৃত্বে খেলোয়াড়েরা কিছুক্ষণ শরীর ঝাঁকিয়ে নিলেন।
এ যেন নেপাল ম্যাচের আগে সমুদ্রের কাছ থেকে সাহস ধার নেওয়ার দীক্ষা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৬
টিএইচ/আইএসএ/টিসি