ঢাকা: ১৯৯৮ সাল থেকে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে নিয়মিত অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ। নিজেদের দশম আসরে এলো সেরা সাফল্য।
আগের আসরগুলোর দলেও থাকতেন প্রতিভাবান ক্রিকেটার, গড়া হতো ব্যালান্সড দল। তারপরও বার বার ঠিকানা হতো প্লেটপর্ব। আগের সব আক্ষেপ বুঝি ভুলিয়েই দিয়েছে মেহেদি হাসান মিরাজের দল!
দলটি কিভাবে এতো ভালো করছে, বিশেষ কি শক্তি রয়েছে মিরাজবাহিনীর? মঙ্গলবার (০৮ ফেব্রয়ারি) মিরপুর একাডেমি মাঠে সংবাদকর্মীদের এমন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সহকারী কোচ সোহেল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘এখানে অনেক ছেলে আছে যারা অনূর্ধ্ব-১৫, ১৬ দলেও একসাথে ছিল। অনেকদিন একসাথে থাকার ফলে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়াটা ভালো হচ্ছে। একটা টিম যখন অনেকদিন ধরে একসাথে পারফর্ম করে তখন ওদের শক্তিটা বেড়ে যায়। ওদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো হলো মানসিকতা। ’
কোনো বিপদ আসলে একে অন্যকে সেভ করে, আমি যাব (উইকেটে)। এই যে মানসিকতাটা- তুই থাক, আমি যাচ্ছি। এই মানসিকতাটাই ওদের এগিয়ে রাখছে। ’-যোগ করেন সোহেল ইসলাম।
আত্মবিশ্বাস ও টেকনিকের জায়গায় কোনো ক্রিকেটারের হয়তো ক্ষেত্র বিশেষে দূর্বলতা ও সবলতা থাকে। কেউ দূর্বলতায় ভুগলে দলের অন্য কেউ তার সবলতা দিয়ে সেটিকে পুষিয়ে দিচ্ছেন বলে ইঙ্গিত দেন সোহেল ইসলাম।
সেমিফাইনালে মিরাজদের প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যাদের কিনা বিশ্বকাপ শুরুর কয়েকদিন আগেই দ্বিপাক্ষিক সিরিজে দাপটের সঙ্গে (৩-০) হারিয়ে এসেছে মিরাজ-শান্তরা। চেনা প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলা বলে বাংলাদেশের কিছুটা সুবিধা থাকলেও দ্বিপাক্ষিক সিরিজের সঙ্গে আইসিসি’র টুর্নামেন্টকে মেলাতে চান না জুনিয়র টাইগারদের এই কোচ।
প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমাদের জন্য অ্যাডভান্টেজ হচ্ছে, টুর্নামেন্টের আগে ওদের সাথে আমরা দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জিতেছি। ওদের খেলোয়াড় সম্পর্কে আমাদের ধারণা ভালো এবং ওরা কোন জায়গায় শক্তিশালী কোন জায়গায় দূর্বল- সেটা আমরা জানি। তারপরও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ একরকম ও টুর্নামেন্টে খেলা একরকম। যেহেতু ওরা ভালো ফর্মে আছে। সেহেতু প্ল্যান ওই অনুযায়ীই থাকবে। ১৬টা টিমের খেলায় যখন একটা টিম সেমিফাইনালে ওঠে; নি:সন্দেহে তারা ভালো বলেই। ’
সেমিফাইনালে নিজ দলের পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘এ টুর্নামেন্টে আমরা আসলে ‘ম্যাচ বাই ম্যাচ’ খেলছি। সামনে সেমিফাইনাল ম্যাচ আছে এখন ওটাতেই মনযোগ দিতে চাই। এটাই মনে হয় সবচেয়ে ভালো যে, দূরের চিন্তা না করে বর্তমানকে নিয়ে চিন্তা করা। দূরের চিন্তা (ফাইনাল) করলে চাপ বাড়বে। ভালো করা জন্য যা দরকার সে অনুযায়ী আমরা প্রস্তুতি নেব। ’
আগামী ১১ ফেব্রয়ারি (বৃহস্পতিবার) মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অ-১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ম্যাচে মাঠে নামবে মিরাজবাহিনী। ক্যারিবীয়দের হারিয়ে ফাইনালে উঠতে মরিয়া বাংলাদেশের যুবারা।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৬
এসকে/আরএম