মিরপুর থেকে: শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ৯৭ রানে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল ভারত যুবারা। যুব আসরে এ নিয়ে চতুর্থবার ফাইনাল খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো ভারতীয়রা।
মিরপুরে শেরে-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) সেমিফাইনালের এ ম্যাচে লঙ্কান যুবাদের এক রকম হেসে-খেলেই হারালো রাহুল দ্রাবিড়ের শিষ্যরা। দলটির নয় উইকেটে করা ২৬৭ রানের বিপরীতে ৪২.৪ ওভারে ১৭০ রানে গুটিয়ে যায় লঙ্কান দ্বীপ রাষ্ট্রটির তরুণরা।
২৬৮ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ভারতীয় বোলারদের তোপে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে শ্রীলঙ্কান যুবারা। দলের হয়ে কোন ব্যাটসম্যানই ছুঁতে পারেননি হাফ সেঞ্চুরির কোঠা। সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন কামিন্দু মেন্ডিস। আর ৩৮ রান আসে শাম্মু আশানের ব্যাট থেকে। এছাড়া দলের ছয় ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্কের ঘরে না যেতে পারলে দুইশো রানই পার করা হয়নি দলটির।
ভারতীয় যুবাদের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট পান মায়ানেক দাগার। আর দুটি করে উইকেট পান আভেশ খান। একটি করে উইকেট দখল করেন খলিল খান, রাহুল বাথাম ও ওয়াশিংটন সুন্দর।
এর আগে টসে হেরে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৬৭ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করায় ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ফাইনালে যাওয়ার লক্ষ্যে এ ম্যাচটিতে ভারতীয় যুবাদের হয়ে সর্বোচ্চ ৭২ রান করেন আনমলপ্রিত সিং।
তবে শুরুটা ভালো করতে পারেনি দলটি। দলীয় ২৭ রানের মধ্যেই দুই ওপেনার রিশাব পান্ত ও ইশান কিশানকে হারায় তারা। কিন্তু তৃতীয় উইকেট জুটিতে সরফরাজ খানকে সঙ্গে নিয়ে ৯৬ রানের জুটি গড়ে বিপদ সামাল দেন আনমলপ্রিত।
আনমলপ্রিত ৯২ বলে ছয় চার ও এক ছয়ে সর্বোচ্চ ৭২ রান করে আউট হন। ৫৯ রান আসে সরফরাজের ব্যাট থেকে। দুই ওপেনার বাজে খেললেও দায়িত্বটা ভালোই কাঁধে নেন মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যানরা। পঞ্চম উইকেটে নামা ওয়াশিংটন সুন্দর করেন ৪৩ রান। আর পরের ব্যাটসম্যান আরমান জাফরের ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান।
লঙ্কান যুবাদের মধ্যে ১০ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট পান আশিথা ফার্নান্দো। আর দুটি করে উইকেট পান লাহিরু কুমারা ও থিলান নিমেশ।
আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ যুব দলের মধ্যকার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে জয়ী দলের সঙ্গে ফাইনাল ম্যাচটি (১৪ ফেব্রুয়ারি) খেলবে তিনবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় যুবারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬
এমএমএস
** ফাইনালে যেতে ভারতীয় যুবাদের সংগ্রহ ২৬৭