মিরপুর থেকে: যুব বিশ্বকাপে শ্রীলংকা ফাইনাল খেলেছে মাত্র একবার। ২০০০ সালে ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষেই ফাইনালে বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হয় লংকানদের।
ভারতের কাছে লংকানদের অসহায় আত্মসমর্পণ বললেও বাড়িয়ে বলা হবে না। অথচ ম্যাচের শুরুটা ছিল শ্রীলংকারই। আগের রাতের গুড়িগুড়ি বৃষ্টি ভিজিয়ে দেয় মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম। পেসারদের সুবিধার কথা ভেবেই হয়তো আগে ফিল্ডিং করাকেই যুক্তিযুক্ত মনে করেছিলেন শ্রীলংকা অ-১৯ দলের অধিনায়ক চারিথ আশালঙ্কা।
লংকান পেসাররা ২৭ রানে ভারতের দুই ওপেনার ইশান কিশান ও রিসাব পান্তকে ফিরিয়ে অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমান করেই ফেলেছিলেন। তবে ক্রিকেটে বড় ম্যাচে আগে ব্যাট করলেই যে বেশী নির্ভার হওয়া তা প্রমাণ করে দিলেন আনমলপ্রীত সিং ও সরফরাজ খান মিলে। তৃতীয় উইকেটে দু’জনের ৯৬ রানের জুটিই ভীত এনে দিল ভারতকে।
আনমলপ্রীতের ৭২, ইনফর্ম ব্যাটসম্যান সরফরাজের ৫৯, ওয়াশিংটন সান্দারের ৪৩ ও শেষ দিকে আরমান জাফরের ১৬ বলে ২৯ রানের ঝড়ো ইনিংসে ৯ উইকেটে ২৬৭ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় তিনবারের যুব বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ভারত।
২৬৮ রানের বড় লক্ষ্য দেখেই যেন সাহস হারিয়ে ফেলেছিল লংকান ব্যাটসম্যানরা! পুরো ইনিংসে জয়ের সম্ভাবনাও দাঁড় করাতে পারেনি সনাথ জয়সুরিয়ার উত্তরসূরীরা। ৪২ রানে টপঅর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান বিদায় নিলে কক্ষপথ হারিয়ে ফেলে লংকানরা। সেখান থেকে আর কেউই খেলতে পারেননি সাহসী ইনিংস। ফলে ৪২.৪ ওভারে ১৭০ রানেই থেমে গেল শ্রীলংকার ইনিংস। সর্বোচ্চ ৩৯ রান কামিন্দু মেন্ডিসের।
এ জয়ের ফলে পঞ্চমবারের মতো যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলো ভারত। যার মধ্যে তিনবার চ্যাম্পিয়ন ও একবার রানার্সআপ হয় তারা। এবারের শিরোপাটি ভারত পেলে সর্বোচ্চ চারবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কীর্তি গড়বে তারা। যুবাদের ক্রিকেটে ভারতের সমান তিনবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচের জয়ী দলের সঙ্গে আগামী ১৪ ফেব্রয়ারি ফাইনালে মুখোমুখি হবে ভারত অ-১৯ দল।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৬
এসকে/আরএম
** স্বপ্নের ফাইনালে ভারতীয় যুবারা
** ফাইনালে যেতে ভারতীয় যুবাদের সংগ্রহ ২৬৭