মিরপুর থেকে: আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ম্যাচে রিকি ভুঁইয়ের জায়গায় আনমলপ্রীত সিংকে দেখে অনেকেরই চোখ কপালে ওঠার কথা। ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সাবেক অধিনায়ক রিকির জায়গায় সেমিফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আনকোরা আনমলপ্রীত!
এ বিস্ময় অবশ্য বেশিক্ষণ থাকেনি।
ম্যাচসেরার পুরস্কার ওঠে আনমলপ্রীতের হাতেই। যেন জানান দেন, ‘এমনি-এমনি তো জায়গা হয়নি একাদশে!’
পাঞ্জাবের ক্রীড়াপরিবার থেকে উঠে আসা আনমলপ্রীতের। বাবা সাতভিন্দার সিং ছিলেন ভারতের হ্যান্ডবল দলের অধিনায়ক। যিনি ১৯৮৮ সাল থেকে ২০০০ সাল অব্দি ভারতের জাতীয় হ্যান্ডবল দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
হ্যান্ডবল না খেলে ক্রিকেট কেন, এমন প্রশ্নে আনমলপ্রীত হেসে জানান, ক্রিকেটটা ভালো পারি তাই। আমার ভাই-বোনরাও ক্রিকেট খেলতো, তাদের খেলা দেখেই ক্রিকেটে আগ্রহ জাগে। মনে পড়ে, ছোটবেলায় আমার কোনো কোচ ছিলেন না। টিভিতে শচীন টেন্ডুকারদের খেলা দেখেই ব্যাটিংটা শিখতাম।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে আনমলপ্রীতকে একাদশে রাখার ব্যাখ্যা দেন দলের অধিনায়ক ইশান কিশান, ‘এমন না যে হুট করেই আনমল একাদশে এসেছে। নেটে তার ব্যাটিং আমরা পরখ করেছি। ভালো খেলে বলেই তো ১৫ জনের দলে জায়গা পেয়েছে সে। দলের প্রয়োজনের সময় আজ আনমল দারুণ ব্যাট করেছে। তার উপর আমাদের আস্থা ছিল।
ম্যাচ উইনিং ইনিংসটি প্রসঙ্গে আনমলপ্রীত বলেন, পরিকল্পনা করে খেলছিলাম। সরফরাজ আর আমি বার বার কথা বলে নিচ্ছিলাম। শেষ পর্যন্ত খেলার পরিকল্পনা ছিল আমাদের। দলের প্রয়োজনে হাল ধরতে পেরে আমি অনেক খুশি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ ঘণ্টা, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
এসকে/এমআর