ঢাকা: নিজেদের মাটিতে টি-টোয়েন্ট বিশ্বকাপের আসরে নামার আগে টিম ইন্ডিয়া চেয়েছিল নিজেদের বেশ ভালো করেই ঝালিয়ে নিতে। তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নেমে বেশ লজ্জাই পেতে হলো প্রথম ম্যাচে।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারত ১৮.৫ ওভারে গুটিয়ে যায়। অলআউট হওয়ার আগে শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের দলটি করে মাত্র ১০১ রান। জবাবে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮ ওভার ব্যাট করেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা। এ ম্যাচে জিতে ১-০ তে লিড নিল সফরকারীরা।
বাংলাদেশ সফরে এসে এক মুস্তাফিজের কাছেই ধরাশায়ী হয় ভারত। আর লঙ্কানদের বিপক্ষে খেলতে নেমে আরেক অভিষিক্তের কাছেই হারতে হলো টিম ইন্ডিয়াকে। ভারতের ব্যাটিংকে গুঁড়িয়ে দিতে বল হাতে ম্যাজিক দেখান অভিষিক্ত কাসুন রাজিথা, দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামা দাসুন সানাকা আর চতুর্থ ম্যাচ খেলতে নামা দুশমন্ত চামিরা।
ক্যারিয়ারের প্রথম ওভারে (ইনিংসেরও প্রথম ওভার) বোলিং আক্রমণে আসেন রাজিথা। নিজের দ্বিতীয় বলেই ফিরিয়ে দেন ইনফর্ম ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মাকে। ওভারের শেষ বলে ফিরিয়ে দেন ৪ রান করা আজিঙ্কা রাহানেকে।
ওপেনিংয়ে নামা শিখর ধাওয়ান ফেরেন দলীয় পঞ্চম ওভারে। ব্যক্তিগত ৯ রান করা ধাওয়ানকেও ফিরিয়ে দেন রাজিথা।
দলীয় নবম ওভারে বোলিং আক্রমণে আসেন সানাকা। একই ওভারে তুলে নেন ধোনি (২) ও রায়নাকে (২০)। পরের ওভারে যুবরাজ সিংকে (১০) সাজঘরের পথ ধরান ফিরতি ক্যাচ নেওয়া চামিরা। এক ওভার বাদে এলবির ফাঁদে ফেলে সানাকা ফিরিয়ে দেন ২ রান করা হারদিক পান্ডেকে।
রবীন্দ্র জাদেজা সেট হওয়ার আগেই সেনানায়েকের বলে এলবির ফাঁদে পড়লে তাকে ফিরতে হয় ৬ রান করে। ১৯তম ওভারে আশিস নেহারা চামিরার বলে শ্রীবর্ধানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। আর শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আসা জাসপ্রিত বুমরাহ একই ওভারে রান আউট হন।
তবে, ভারতের শতক পেরুনো ইনিংসে ৩১ রান যোগ করেন অপরাজিত থাকা রবীচন্দ্রন অশ্বিন। ২৪ বলে ৫টি চারের সাহায্যে তিনি এ রান করেন।
লঙ্কানদের হয়ে রাজিথা ও সানাকা তিনটি করে উইকেট নেন। দুটি উইকেট নেন চামিরা। একটি যায় সেনানায়েকের ঝুলিতে।
১০২ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে অভিষিক্ত ওপেনার নিরোসান দিকওয়েলা ৪ ও আরেক ওপেনার দানুস্কা গুনাথিলাকা ৯ রান করে দ্রুত বিদায় নেন। দুই ওপেনারকে ফেরান নেহারা। লঙ্কান দলপতি দিনেশ চান্দিমালের ব্যাট থেকে আসে ৩৫ রান। কাপুগেদারা করেন আরও ২৫ রান। শ্রীবর্ধানে ১৪ বলে ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১৮ ওভারে লঙ্কানরা তোলে জয়সূচক ১০৫ রান।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন রাজিথা।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৭ ঘণ্টা, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
এমআর