ঢাকা: অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে নেপালের বিপক্ষে কি চাপেই না পড়েছিল বাংলাদেশ। ২১২ রান টপকাতে গিয়ে ৯৮ রান তুলতেই নেই টপঅর্ডারের চার ব্যাটসম্যান।
তবে আশার কথা চাপের মধ্যেও উইকেটে সাবলীল থেকে মিরাজ-জাকির দলকে জেতালেন ৬ উইকেটে! মিরাজ-জাকির মিলে পঞ্চম উইকেটে গড়েছিলেন ১১৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি।
ওই ম্যাচে বোঝা গেছে, চাপের মধ্যেও জুনিয়র টাইগাররা কী দুর্বার সাহস-ই না রাখেন! সেই সাহস ছড়িয়ে গেছে গোটা দলে। বুকে সাহস রেখেই বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রয়ারি) ওয়েস্ট ইন্ডিজ যুবাদের বিপক্ষে মাঠে নামছে মিরাজবাহিনী।
বুধবার (১০ ফেব্রয়ারি) ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে দলের সাহসী মনোভাবের কথাই জানালেন অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ, ‘আমাদের দলের ভেতর একটা বিশ্বাস আছে, যে কোন পরিস্থিতিতে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবো। আমরা কখনো নেতিবাচক চিন্তা করি না। শেষ ম্যাচটায় যেমন পরিস্থিতিতে আমি ব্যাটিং করেছি ওই পরিস্থিতিতে আমি খেলতে পছন্দ করি এবং উপভোগ করি। ’
‘শ্রীলঙ্কায় সিরিজ খেলে ওখানে পর পর দুটি ম্যাচ আমরা হেরেছিলাম এরপর টানা তিন ম্যাচ জিতে সিরিজ (৩-২) জিতেছি। ওইসব কন্ডিশনে গিয়ে আমরা চাপ নেওয়া শিখেছি। এগুলো এখন আমাদের কাজে লাগছে। ’ -যোগ করেন মিরাজ।
মিরাজদের সাহসী হয়ে ওঠার পেছনে বড় কারণ হলো মাঠের বাইরের কোনো কিছুকে আমলে না নেয়া। কিভাবে ভালো খেলা যায়-সেদিকেই থাকে নাকি পূর্ন মনযোগ, ‘যখন আমি খেলি তখন আমার পরিবার, দর্শকদের কথাও চিন্তা করি না। বাইরের কোনো চিন্তাই মাথায় আসে না। তখন চিন্তা থাকে, বলটা আসছে কিভাবে, কিভাবে রান করতে হবে। কিভাবে উইকেট নিতে হবে। এটাই চিন্তাই করি। ’
পরিবার থেকে প্রত্যাশাটা কি থাকে-এমন প্রশ্নে মিরাজ বলেন, ‘আমার পরিবার সেভাবে খেলা বোঝে না। তারা শুধু দেখে রান করেছি কিংবা উইকেট পেয়েছি কিনা। এটা হলেই বাবা-মা খুশি। তারা এটাই (রান-উইকেট) ভালো বোঝে। ওই রকম কোন চাপও দেয় না। অবশ্যই পরিবার চায় ভালো কিছু হোক।
‘আমাদের সঙ্গে পরিবারের যোগাযোগ খুব কম হয়। আমরা তাদের সঙ্গে অল্প কিছুক্ষন কথা বলি। কারণ আমাদের এখন ক্রিকেট নিয়ে ফোকাস করতে হয়। আমাদের সামনে দুটি ম্যাচ আছে। বাবা-মা একটা কথাই বলে তোমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করো, খারাপ হলে মন খারাপ করো না। সামনে হবে, ইনশা আল্লাহ। ’-যোগ করেন মিরাজ। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬
এসকে/এমএমএস