মিরপুর থেকে: ‘আসলে আমাদের শুরু থেকেই বিশ্বাস ছিল যে, আমরা ম্যাচটি জিতবো। কিন্তু শেষ দিকে যখন চার হয়ে গেছে তখনই মনে হলো আমরা ম্যাচটি হেরে গেছি।
শেষ পর্যন্ত না পারার আক্ষেপে পুড়েছেন দলের সব ক্রিকেটারই। জিতলে প্রথমবারের মতো আইসিসির কোনো ইভেন্টের ফাইনালে লেখা হতো বাংলাদেশের নাম। এত বড় অর্জনের সুযোগ হারিয়ে আক্ষেপে তো পুড়বেনই ক্রিকেটাররা। ক্রিকেটারদের সঙ্গে আক্ষেপে পুড়ছেন কোটি ক্রিকেটভক্তও। এতো আক্ষেপের মাঝেও মাঠে মিরাজদের চেষ্টা, সাহস, বিশ্বাসকে আলাদা করেই মূল্যায়িত হচ্ছে ক্রিকেটভক্তদের কাছে। আসলেই হারার আগে হেরে বসেনি বাংলাদেশ যুবারা, এখানেই তারা পাচ্ছেন সাধুবাদটা।
২২৭ রানের লক্ষ্যে ওপেনিংয়ে নামা গিদরন পোপের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে শুরুতেই দাপট দেখায় ক্যারিবীয়রা। তেভিন ইমলাচকে নিয়ে মাত্র ৩০ বলে ৪৪ রানের জুটি অনেকটাই এগিয়ে রাখে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। সেখান থেকে মেহেদি হাসান মিরাজের পর পর দুই ওভারের শেষ বলে দুই ওপেনারই সাজঘরে ফিরলে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। শুরুর এমন উত্থান-পতন ছিল শেষ পর্যন্ত। মাঝারি পুঁজি নিয়েও বোলাররা বেশ কয়েকবারই ম্যাচে ফিরিয়েছিল বাংলাদেশকে।
প্রত্যাশার চেয়ে ২০-২৫ রান কম করেও মিরপুরে শেষ পর্যন্ত লড়াই করে গেছে যুবারা। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ কোনো বার না নিতে পারলেও কয়েকবারই ম্যাচে ফিরেছে বাংলাদেশ। গলার উপর ছড়ি ঘোরাতে দেননি বোলাররা। প্রাণপনে লড়াই করেই হেরেছে মেহেদি হাসান মিরাজরা।
ব্যাটিংয়েও লড়াই করতে হয়েছে মিরাজদের। ১১৩ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলা দলকে কক্ষপথে ফেরান অধিনায়ক মিরাজ। তার সঙ্গী ছিলেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। ষষ্ঠ উইকেটে এই দুজনের ৮৫ রানের জুটিই বাংলাদেশকে এনে দেয় লড়াইয়ের পুঁজি।
ফাইনালে উঠতে না পারার আক্ষেপের মাঝে প্রথমবারের মতো যুব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠাকেও একরকম প্রাপ্তি মনে করছেন মিরাজ, ‘টিমের প্রাপ্তি বলতে বাংলাদেশ এর আগে কখনো সেমিফাইনালে খেলতে পারেনি। আমাদের প্রাপ্তি যে আমরা সেমিফাইনাল খেলেছি। আর একটা জিনিস, আমরা ফাইনাল খেলতে পারলে অবশ্যই ভালো হতো, আমরাও মনে-প্রাণে চাচ্ছিলাম ফাইনাল খেলতে কিন্তু পারিনি। ক্রিকেট খেলায় একদল জেতে, একদলকে হারতেই হবে। এটা মেনে নিতেই হবে। সবাই খুব ভালো খেলেছে এ টুর্নামেন্টে। সবাই খুব কষ্ট করেছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৬
এসকে/আরএম