মিরপুর থেকে: আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ সাফল্য এনে দিয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তার নেতৃত্বে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ।
এই সাফল্যকে ছাপিয়ে ভবিষ্যৎ ক্রিকেটাররা যুব বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন হতে চাইবে বলে মনে করেন ২০১৪ ও ২০১৬ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেয়া অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে সেমিফাইনাল শেষে সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ বলেন, ‘আশা করি, সামনের প্রজন্মে যারা অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলবে তারা এই অর্জনকেও ছাড়িয়ে যাবেন। মুশফিক ভাইয়েরা কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছে; ৫ নম্বর হয়েছে। আমরা সেমিফাইনাল খেললাম। এখন যদি তিন-চার নম্বর হই। পরের প্রজন্ম চিন্তা করবে, আমাদেরকে চ্যাম্পিয়ন কিংবা রানার্সআপ হতে হবে। ’
প্রতি দুই বছর অন্তর গড়ায় আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ। সে হিসেবে বর্তমান দলের কেউই থাকবেন না ২০১৮ সালে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য যুব বিশ্বকাপের দলে। তখন ১৯ বছর পেরিয়ে যাবেন দলের সব ক্রিকেটার। এখনকার অনূর্ধ্ব-১৪, ১৫, ১৬ থেকেই গড়া হবে পরবর্তী বিশ্বকাপের দল।
মেহেদি হাসান মিরাজ ১৬ বছর বয়সেই জায়গা পান বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলে। যুবদলের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙ্গে যাবে আর কয়েক মাস পরই। ১৯ পেরিয়ে গেলে তিনি থাকতে পারবেন না বয়সভিত্তিক দলে।
শেষ বেলায় বাংলাদেশকে অনন্য এক অর্জনের সামনে দাঁড় করিয়েছিলেন মিরাজরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আজ (১১ ফেব্রয়ারি) জিতলেই আইসিসি’র কোনো ইভেন্টের ফাইনালে লেখা হতো লাল-সবুজের বাংলাদেশের নাম। শেষ পর্যন্ত সে স্বপ্নপূরণ না হওয়ায় মন খারাপ মিরাজের, ‘মন খারাপ থাকবে এটাই স্বাভাবিক, কেননা আমরা ম্যাচ হেরে গেছি। স্যাররা বলেছে, তোমরা ভালো ক্রিকেট খেলছ; এটাই শেষ নয়। আরও সামনে যেতে হবে। সামনে আমাদের আরও একটি ম্যাচ আছে। ওটাও আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওটা জিততে পারলে আরও কিছু প্রাপ্তি যোগ হবে। ’
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে আগামী শনিবার (১৩ ফেব্রয়ারি) পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে মিরাজরা। জিতলে তৃতীয় স্থানে থেকে যুব বিশ্বকাপ শেষ করবে জুনিয়র টাইগাররা। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে সকাল ৯টায় ম্যাচটি শুরু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৬
এসকে/আরএম