ঢাকা: ২০২ রানের লক্ষ্য টপকাতে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরসের শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৫। শেষ বলে ৩।
ম্যাচ হারায় পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) লাহোর কালান্দার্সের কোয়ালিফাইং রাউন্ডে যাওয়াটা আরো অনিশ্চয়তার মুখে পড়লো। করাচি কিংস ও পেশোয়ার জালমির মধ্যকার ম্যাচের (বিকেল ৫টায়, ১৭ ফেব্রুয়ারি) ওপরই তাদের ভাগ্য নির্ভর করছে। একই দিন গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে (রাত ১০টা) ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের মুখোমুখি হবে লাহোর। সাত ম্যাচ শেষে ইসলামাবাদ, করাচি ও লাহোরের পয়েন্ট যথাক্রমে ৬, ৪, ৪। অবস্থানও যথাক্রমে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম।
পাঁচ দলের মধ্যে আগেই কোয়ালিফাইং ম্যাচ নিশ্চিত করে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরস ও পেশোয়ার জালমি। তাই শীর্ষস্থানে উঠার হাতছানি নিয়েই মঙ্গলবারের (১৬ ফেব্রুয়ারি) ম্যাচে লাহোরের বিপক্ষে মাঠে নামে কোয়েটা। তবে করাচির বিপক্ষে জয় পেলে পেশোয়ারের সামনেও রয়েছে হারানো অবস্থান পুনরুদ্ধারের সুযোগ।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পিএসএলের প্রথম দুইশ রানের দলীয় স্কোর স্পর্শ করে কালান্দার্স। নির্ধারিত ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় দুই উইকেটে ২০১। ওপেনিং জুটিতেই ১০৮ রান তোলেন ‘ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানব’ ক্রিস গেইল (৩৪ বলে ৬০) ও অধিনায়ক আজহার আলী (৪৫ বলে ৬১)। ডোয়াইন ব্রাভো ২০ ও ওমর আকমল ২২ বলে ৫৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন।
গেইলকে আহমেদ শেহজাদের ক্যাচে পরিণত করেন বাঁহাতি স্পিনার জুলফিকার বাবর। আর মিডিয়াম পেসার গ্রান্ট এলিয়টের বলে আনোয়ার আলীর তালুবন্দি হন আজহার।
এর আগে গ্রুপ পর্বের প্রথম দেখায় (৮ ফেব্রুয়ারি) ৬৩ রানে হারের লজ্জায় ডোবে কোয়েটা। ওই ম্যাচটিতে ওমর আকমলের ৪০ বলে ৯৩ রানের বিস্ফোরক ইনিংসে ১৯৫ রানের টার্গেট দিয়েছিল কালান্দার্স। তাই ফিরতি ম্যাচটি সরফরাজ আহমেদদের জন্য প্রতিশোধময়ই ছিল!
কোয়েটা শুরুটাও করে দুর্দান্ত। দলীয় ২৮ রানে শেহজাদ (৪) ফিরলেও বিসমিল্লাহ খান ও কেভিন পিটারসেনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে পিএসএলের দ্রুততম দলীয় ফিফটির রেকর্ড (৩.১ ওভারে) গড়ে কোয়েটা। তবে নবম ওভারে পরপর দুই বলে পিটারসেন (২১ বলে ৩৪) ও বিসমিল্লাহকে (৩০ বলে ৫৫) ফিরিয়ে কালান্দার্সকে ম্যাচে ফেরান ব্রাভো।
কিন্তু, কুমার সাঙ্গাকারা (২৬ বলে ৩৭) ও সরফরাজ আহমেদের (২১) জুটিতে জয়ের পথেই হাঁটে কোয়েটা। ১৬তম ওভারে দু’জনকেই প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে দলকে স্বস্তি এনে দেন পেসার এহসান আদিল। তবে সব ছাপিয়ে ম্যাচের নায়ক বনে যান আফগান তারকা মোহাম্মদ নবী।
শেষদিকে ১২ বলে ৩০ রানের ইনিংসে কোয়েটার জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন নবী। কালান্দার্সের হয়ে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট দখল করেন আদিল। ব্রাভো তিনটি ও কেভন কুপার নেন একটি।
ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন বিসমিল্লাহ খান।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৬
আরএম