ফতুল্লা থেকে: টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ে দুটি দলের বেশ পার্থক্য। আফগানরা যেখানে ৯ নম্বরে সেখানে আরব আমিরাত ১৬ নম্বর দল।
ফতুল্লার ব্যাটিং ট্র্যাকে আমিরাতের দেয়া ১৭৭ রানের টার্গেটে ব্যাটিং নেমে ১৯.৫ ওভারে ১৬০ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান। দলীয় ৩৭ রানে টপঅর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানের বিদায়ে চাপে পড়ে আফগানরা। সেখান থেকে করিম সাদিকের প্রচেষ্টায় অবশ্য ম্যাচে ফেরে তারা। ব্যক্তিগত ৪৪ রানে জীবন পাওয়া করিম সাদিক চড়াও হন আমিরাত বোলারদের ওপর।
করিম একাই বের করে নিয়ে যাচ্ছিলেন ম্যাচ। তবে ১৯তম ওভারের প্রথম বলে ৭২ রান করা করিমকে বোল্ড করে আমিরাত শিবিরে স্বস্তি ফেরান মোহাম্মদ নাভিদ। শেষ দুই ওভারে নিয়মিত উইকেট পতনে শেষ দিকে আর জমে ওঠেনি ম্যাচটি।
আরব আমিরাতের হয়ে রোহান মোস্তফা তিনটি উইকেট নেন। ফারহান আহমেদ ও মোহাম্মদ নাভিদ নেন দুটি করে উইকেট। আমজাদ জাভেদ, আহমেদ রাজা নেন একটি করে উইকেট।
হারের কারণ হিসেবে বাজে ফিল্ডিংকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারেন আফগানিস্তানের অধিনায়ক আসগর স্তানিকজাই। সহজ ক্যাচ তালুবন্দি করতে না পারার খেসারত দিতে হয় তাদের। আমিরাতের হয়ে ৫০ বলে ৭৭ রান করা রোহান মোস্তফা ক্যাচ উঠিয়েছিলেন ব্যক্তিগত ১৮ রানে। মোহাম্মদ নবীর বলে কাভারের ফিল্ডারের হাতে ফসকে যায় ক্যাচটি।
রোহান মোস্তফা যখন ৭২ রানে অপরাজিত তখন ডিপ মিডউইকেটের ফিল্ডার সহজ ক্যাচ ছাড়েন। রোহান ৫০ বলে ৭ চার ও ৪ ছয়ে ৭৭ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসের ওপর ভর করেই আরব আমিরাত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট ১৭৬ রান তোলে। অন্য ব্যাটসম্যানদের মধ্যে মোহাম্মদ শাহজাদ (২৫*), মোহাম্মদ কালিম (২৫) ও ওসমান মুস্তাক (২৩*) রান করেন।
আরব আমিরাতের দুই ওপেনার রোহান ও মোহাম্মদ খলিল ৮৩ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন। তাতেই মূলত বড় পুঁজি পায় আরব আমিরাত।
আফগানিস্তানের বোলারদের মধ্যে রাশেদ খান একাই নেন ৩টি উইকেট। তিনি ৪ ওভার বোলিং করে খরচ করেন ২৫ রান। এছাড়া আমির হামজা একটি উইকেট নিয়েছেন।
এ জয়ের ফলে মূলপর্বে ওঠার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে গেল আরব আমিরাত। পরের দুই ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ ওমান ও হংকং। আর একটি জয় পেলেই আমিরাতের নিশ্চিত হয়ে যেতে পারে এশিয়া কাপের মূলপর্ব।
বালাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
এসকে/এমআর
** বাছাইপর্বের খেলা দেখতেও দর্শক-ঢল ফতুল্লায়