ঢাকা: তিনি এখন আর ভারত ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)’র সভাপতি নন কিংবা আইসিসি’র চেয়ারম্যানও নন। এক সময়ের আইসিসি চেয়ারম্যান এবং বিসিসিআই’র সভাপতি এন শ্রীনিবাসন এখন শুধুই তামিলনাড়ু ক্রিকেট (টিএনসিএ)’র সভাপতি মাত্র।
সম্প্রতি আইসিসি সভায় তিন মোড়লের আধিপত্য হ্রাস পাওয়া নিয়ে তিনি বেশ রেগেমেগেই শশাঙ্ক মনোহরের কাছে এর সত্যতা জানতে চেয়েছেন।
তামিলনাড়ু ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাশি বিশ্বনাথ শ্রীনির পক্ষ থেকে এক চিঠির মাধ্যমে শশাঙ্ক’র কাছে জানতে চেয়েছেন যে, সম্প্রতি আইসিসি’র বোর্ড সভায় আইসিসি’র শক্তিশালী তিন দেশ ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের ক্ষমতা হ্রাস বিষয়ক কোন আলোচনায় তিনি একমত পোষণ করেছেন কী না?
মূলত এই প্রশ্নটির উদ্রেক ঘটেছে গেল মাসে আইসিসি’র বোর্ড সভার পর। উক্ত সভায় শশাঙ্ক বলেছিলেন যে, ভারত ক্রিকেট বোর্ড তাদের মোট ২২ ভাগ শেয়ারের ৬ ভাগ আইসিসি’র অন্যান্য ছোট দেশগুলোর জন্য ছেড়ে দেবে। আর তার এমন সিদ্ধান্তের পরই বিশ্বনাথ চিঠিতে জানতে চেয়েছেন যে, ভারত ক্রিকেট বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা না করেই তিনি এমন সিদ্ধান্ত কীভাবে নিলেন? তিনি প্রশ্ন করেন, ‘একথা কী সত্য যে আপনি আইসিসি থেকে ভারতের স্থায়ী সদস্যপদ ছেড়ে দেয়ার কথা বলেছেন? আপনি নাকি এও বলেছেন যে, ভারত ক্রিকেট বোর্ড তাদের শেয়ারের একটি অংশ ছেড়ে দেবে?’
এখানেই ক্ষান্ত হননি বিশ্বনাথ, এই চিঠিতে তিনি শশাঙ্ক মনোহরের কাছে আরও জানতে চেয়েছেন, ‘যদি আপনি সত্যিই এমন কিছু করে থাকেন তাহলে আমাকে জানাবেন যে বিসিসিআই’র কোন সভায় এ সংক্রান্ত বিষয়ে কোন আলোচনা না করেই কেন আপনি আইসসি বোর্ড সভায় এসব কথা বললেন?’
ক্রিকেট তামিলনাড়ুর এমন চিঠির প্রেক্ষাপটে শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) মুম্বাইয়ে এক বিশেষ বোর্ড সভার আযোজন করে বিসিসিআই। সভা শেষে সেখানে শ্রীনি ক্যাম্পের এক মুখপাত্র বলেন, ‘মনোহর ওই সভায় এমন কোন প্রতিশ্রুতি দেননি যা ভারত ক্রিকেটের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায় বরং তিনি বলেছেন যে, নিজেদের স্বার্থ অটুক রেখে আমাদের মোট শেয়ার থেকে ২১ ভাগের পরিবর্তে কিছু অংশ ছেড়ে দেবেন। ’
বাংলাদেশ সময়: ২২০৭ ঘণ্টা, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
এইচএল/এমআর