মিরপুর থেকে: ২০১০ সালে লর্ডস টেস্টে দুই সতীর্থ সালমান বাট ও মোহাম্মদ আসিফের সঙ্গে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে পড়ে মোহাম্মদ আমির পাঁচ বছর থাকলেন ক্রিকেটের বাইরে। সাজা কাটিয়ে ফিরেও আমিরের পেস বোলিংয়ে সেই ছন্দ! কোথাও কোথাও যেন আগের চেয়ে বিধ্বংসী।
এশিয়া কাপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে নিজের আগ্রাসী রূপ দেখালেন প্রথম স্পেলেই তিন উইকেট নিয়ে। যদিও ম্যাচ জেতেনি পাকিস্তান। তবে ভারতের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে ছিলেন আমিরই। ম্যাচ শেষে তাই পাকিস্তানের কোচ ওয়াকার ইউনুস ও ভারতের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির মুখে আমির বন্দনা।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে আমিরের বোলিং নিয়ে ধোনি জানান, আমির তার স্পেলটা অসাধারণ করেছে। এমন বোলিংয়ে এলবিডব্লিউ কিংবা স্লিপে ক্যাচ যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আমির আমাদের বিপদে ফেলে দিয়েছিল তার অসাধারণ বোলিং দিয়ে।
আমিরের প্রত্যাবর্তনের ম্যাচ ছিল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। অকল্যান্ড ও ওয়েলিংটনে দুটি ওয়ানডেতে নিয়েছিলেন পাঁচ উইকেট। তখনই নাকি দলের কোচ ওয়াকার বুঝেছিলেন আমিরের ভবিষ্যত ভালোর দিকেই যাবে। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের সাবেক এ ফাস্ট বোলার বলেন, আমিরের ভালো বোলিংয়ের নমুনা নিউজিল্যান্ডের মাটিতেই দেখেছিলাম। সেই ধারাবাহিকতায় এ ম্যাচেও ভালো বোলিং করেছে। আশা করি এশিয়া কাপের পরের ম্যাচগুলোতে এভাবেই জ্বলে উঠবে আমির।
উপমহাদেশের মাটিতে আমিরের বোলিং কতটা বিধ্বংসী হতে পারে, তার নমুনা দেখিয়েছিলেন বিপিএলে চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে খেলে। এবার আন্তর্জাতিক ম্যাচেও দেখা গেল উপমহাদেশের মাটি আমিরের উইকেট পাওয়ার ক্ষেত্রে কতটা উর্বর।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৪ ঘণ্টা, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
এসকে/এমআর