ঢাকা: কয়েক ঘণ্টা পরই এশিয়া কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করতে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে স্বাগতিক বাংলাদেশ। এ ম্যাচে জিতলেই এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে ভারতের বিপক্ষে খেলবে মাশরাফি বাহিনী।
মহাগুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচকে ঘিরে ক্রিকেট প্রেমীদের উচ্ছ্বাস মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। কোনোভাবেই হাইভোল্টেজ এ ম্যাচটি মিস করতে চাইছেন না টাইগারভক্তরা। গ্যালারিতে থেকে মাশরাফি-সাকিব-মুশফিক-সাব্বিরদের অকুণ্ঠ সমর্থন যোগাতে চান তারা। তবে এ চাওয়া পূরণে লাগবে ‘সোনার হরিণ’ টিকিট। কিন্তু টিকিট প্রাপ্তির ভাগ্য মিলছে ক’জনার?
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। ম্যাচ শুরুর ১২ ঘণ্টা আগে সকাল সাড়ে ৭টা থেকেই টিকিট সংগ্রহের যুদ্ধে নেমেছেন টাইগারভক্তরা। এখনও চলছে অবিরাম যুদ্ধ। তবে ব্যাংকের বুথে টিকিট কোথায়!
বেশিরভাগ টিকিটই তো বিক্রি হয়ে গেছে ম্যাচের আগের দিন। তারপরও ভক্তরা সোওরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামের অস্থায়ী বুথে অপেক্ষা করছেন যদি মেলে একটি টিকিট।
প্রশাসন ও ব্যাংকের কর্মকর্তারা টিকিটের জন্য আগ্রহীদের টিকিট নেই ঘোষণা দিলেও তারা বুথের সামনেই ভিড় করে থাকেন। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করেন তাদের। বুথে টিকিট না মিললেও কালোবাজারে ঠিকই চলছে রমরমা টিকিট-বাণিজ্য।
১৫০ টাকার সাধারণ গ্যালারির টিকিট বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকায়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে স্টেডিয়ামের আশপাশের অলিগলিতে কালোবাজারিরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থেকে নির্ধারিত দামের চেয়ে ১০ গুণ মূল্যে বিক্রি করছেন টিকিট।
এত টাকা দিয়ে টিকিট কেনার যাদের সামর্থ্য নেই তাদের খেলা দেখতে হবে টেলিভিশনের পর্দাতেই। টিকিট না পাওয়াতে এবং কালোবাজারে সর্বমোট টিকিটের বড় একটি অংশ চলে যাওয়ায় বেশ কয়েকজন যুবক ক্ষোভ প্রকাশ করেন এ প্রতিবেদকের কাছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, ০২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/আপডেট: ১৭৩২ ঘণ্টা
এসকে/এমএমএস/এমজেএফ/