মিরপুর থেকে: এশিয়া কাপ থেকেই টি-টোয়েন্টিতে নতুন শুরু করতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। এশিয়া কাপ থেকেই টি-টোয়েন্টিতে ব্যর্থতা কাটিয়ে ভালো শুরু করবে বাংলাদেশ এমন আশাতে ছিলেন টাইগার ভক্তরাও।
নিজের উপর বিশ্বাস না হারালে কিভাবে রোহিত শর্মার দেয়া সহজ ক্যাচ ফসকে যায় সাকিবের হাত থেকে? ২১ রানে ফেরার কথা ছিল যার, সেই রোহিত শেষ পর্যন্ত ভারতের ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ন হয়ে ৫৫ বলে ৮৩ করে সাজঘরে ফেরেন। আর তাতে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের তরতাজা সবুজ ঘাসের উইকেটে ভারত পেয়ে যায় ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রানের লড়াকু পুঁজি।
জবাবে বাংলাদেশ ২০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে থামে ১২১ রানে। আর তাতে ৪৫ রানের বড় ব্যবধানের হার নিয়েই শুরু হলো এশিয়া কাপে বাংলাদেশের মিশন।
ক্যাচ মিসের জবাবটা সাকিব দিতে পারতেন ব্যাট হাতে লড়াকু ইনিংস খেলে। কিন্ত ব্যাটিংয়েও পাওয়া গেল না আত্মবিশ্বাসী সাকিবকে। নন স্ট্রাইকে থাকা সাব্বিরকে কল না দিয়েই এক রানের জন্য ছুটতে গিয়ে পেলেন না সাড়া। রান আউট হলেন সাকিব। উইকেটে ফেরার সুযোগটুকুও পেলেন না। মধ্যক্রিজে স্লিপ কেটে পড়ে উইকেট বিসর্জন দিয়েছেন।
সাকিবের পর অবশ্য বেশিক্ষন উইকেটে থাকা হয়নি সাব্বিরেরও। ৪৪ রান করে সাব্বির ফিরে গেলে ম্যাচ জয়ের শেষ আশাটুকুও নিভে যায়। সাব্বিরের ৪৪ রানই বাংলাদেশের ইনিংসের সর্বোচ্চ। শেষ দিকে মুশফিকুর রহিমের করা ১৬ রান কেবল পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে।
অথচ ম্যাচ শুরুর মোমেন্টামটা ছিল বাংলাদেশের পক্ষেই। দুপুরের বৃষ্টির পর ঘাসের উইকেটে টস জিতে ফিল্ডিং নেয়ার সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করেছিলেন বাংলাদেশের পেসাররা। ৪২ রানের মধ্যে ভারতীয় টপঅর্ডারের ধাওয়ান, কোহলি ও রায়নাকে ফিরিয়ে ভালো কিছুরই ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন আল-আমিন, মাশরাফিরা। দলীয় ৫২ রানে রোহিতের ক্যাচ মিসে সব চেষ্টাই শেষে বিফলে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১৩ ঘণ্টা, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
এসকে/এমআর