মিরপুর থেকে: টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে মুশফিকুর রহিমের বরিশাল বুলস নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করেছে ১৪২ রান। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে জয় ভিন্ন কিছুই ভাবছে না বরিশাল।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) মঙ্গলবার দিনের প্রথম ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বরিশাল বুলস অধিনায়ক মুশফিক। মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুপুর একটায় মুখোমুখি হয় মাশরাফির কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স আর মুশফিকের বরিশাল বুলস।
বরিশালের হয়ে ব্যাটিংয়ের উদ্বোধন করতে নামেন ডেভিড মালান এবং দিলশান মুনাবেরা। কুমিল্লার হয়ে বোলিং আক্রমণ শুরু করেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে আসেন শাহদাত হোসেন রাজীব। প্রথম বলে ছক্কা হজম করলেও তৃতীয় বলে সরাসরি বোল্ড করেন মুনাবেরাকে। মুনাবেরা ফেরার আগে করেন ৭ রান।
এরপর ইনিংসের সপ্তম ওভারের প্রথম বলে বিদায় নেন আরেক ওপেনার ডেভিড মালান। ব্যক্তিগত ৯ রানে উইকেটের পেছনে লিটন দাসের গ্লাভসবন্দি হন তিনি। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের বলে বিদায় নেন এই ওপেনার। দলীয় ৪২ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট হারায় বরিশাল। দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন দলপতি মুশফিক আর জীবন মেন্ডিস। এই জুটি থেকে আসে ২২ রান। ইনিংসের দশম ওভারের চতুর্থ বলে নাবিল সামাদ বোল্ড করেন মেন্ডিসকে। দলীয় ৬৪ রানের মাথায় মেন্ডিস ফেরার আগে ২৪ বলে দুটি করে চার ও ছক্কায় করেন ২৮ রান।
ইনিংসের ১৩তম ওভারে বিদায় নেন শাহরিয়ার নাফিস। রশিদ খানের দুর্দান্ত এক ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়ে এলবির ফাঁদে পড়েন শাহরিয়ার। দলীয় ৮৫ রানের মাথায় বিদায় নেওয়ার আগে এই বাঁহাতির ব্যাট থেকে আসে ১১ রান। পরের ওভারে নাদিফ চৌধুরি বোল্ড হয়ে ফেরেন। নতুন এই ব্যাটসম্যানকে ফেরান নাবিল সামাদ। একই ওভারে নাবিল সামাদের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মুশফিক। মাশরাফির তালুবন্দি হওয়ার আগে বরিশালের দলপতির ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান। মুশফিকের ২৩ বলের ইনিংসে ছিল একটি করে চার ও ছক্কার মার।
মুশফিকের পর সাজঘরে ফেরেন রুম্মন রইস। রানআউট হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৪ রান। দলীয় ৯২ রানে সাত উইকেট হারায় বরিশাল। ১৯তম ওভারে রশিদ খানের শিকারে বিদায় নেন তাইজুল ইসলাম। স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৪ রান। তার ১৩ বলের ইনিংসে ছিল তিনটি চারের মার। এনামুল হক ১৫ বলে একটি চার আর একটি ছক্কায় ২০ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৬ বলে দুটি ছক্কায় ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন আবু হায়দার রনি।
কুমিল্লার হয়ে দলপতি মাশরাফি ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান খরচ করেন। রশিদ খান ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে তুলে নেন দুটি উইকেট। ৪ ওভারে ১৭ রান খরচায় নাবিল সামাদ নেন তিনটি উইকেট। ৩ ওভারে ২২ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট পান শাহদাত হোসেন।
এবারের আসরে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার সময়টা বাজেই কাটছে। আট ম্যাচ খেলে ফেললেও মাশরাফি বিন মর্তুজার দল জিতেছে মাত্র একটিতে। বাকি সাতটি ম্যাচ হেরে সংগ্রহ করেছে শুধুমাত্র দুটি পয়েন্ট। ফলে চলতি আসরে টিকে থাকাটা প্রায় অসম্ভবই তাদের জন্য। পয়েন্ট টেবিলে রয়েছে সবার শেষে।
স্বস্তিতে নেই বরিশালও। মুশফিকুর রহিমের দল নয় ম্যাচ খেলে ছয় হারের বিপরীতে জিতেছে তিনটিতে। ছয় পয়েন্ট সংগ্রহ করে রয়েছে কুমিল্লার ঠিক ওপরে (ষষ্ঠ)। দু’দলের প্রথম সাক্ষাতে কুমিল্লাকে ছয় উইকেটে হারিয়েছিল বরিশাল।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, ২৯ নভেম্বর, ২০১৬
এমআরপি