ঢাকা: নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডের আগে সেরা একাদশ নিয়ে দোলাচলে ছিল বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। তানভির হায়দার নাকি মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত? এই দুই স্পিনিং অলরাউন্ডারের মধ্যে শেষ পর্যন্ত খেললেন মোসাদ্দেক।
তবে অর্ধশতক তুলেই ক্রিজ ছাড়া হননি মোসাদ্দেক, অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন। দলের হারের দিনে তার এই অপরাজিত ইনিংসটি টিম ম্যানেজমেন্টকে নিশ্চয় সন্তুষ্ট করতে পেরেছে।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) ক্রাইস্টচার্চের হেগলি ওভালে মোসাদ্দেক যখন ব্যাটিংয়ে এসেছেন (৩০.৫ ওভার) তখন স্বাগতিকদের দেয়া ৩৪২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামা সফরকারী বাংলাদেশর অবস্থা খুবই নাজুক। দলীয় ১৬৭ রানে নেই ৬ উইকেট।
দলের এমন সংকটময় অবস্থায় হাল ধরেন মুশফিকুর রহিমের সাথে। সপ্তম উইকেটে এই দুই টাইগার ব্যাটসম্যান খেললেন ৫২ রানের এক জুটি যা দিন শেষে সফরকারী বাংলাদেশকে ২৬৪ রানের সম্মানজনক সংগ্রহ এনে দিয়েছে।
এই জুটিতে দুই ব্যাটসম্যানই দুর্দান্ত খেলেছেন। মুশফিক ও মোসাদ্দেকের ব্যাটিং দেখে এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিল জয় বুঝি শেষ পর্যন্ত ধরাদে কিন্তু, ব্যক্তিগত ৪২ রানে মুশফিকু রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরে গেলে সেই আশা একেবারেই ফিকে যায়। তবে নিজের কাজটি ঠিকই করেছেন মোসাদ্দেক। ইনিংসের ৪৫তম ওভারে টিম সাউদির চতুর্থ বলটিকে স্কয়ার কাট করে ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক তুলে নিয়েছেন।
আর এই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিতে তিনি খেলেছেন ৪৪টি বল, যেখানে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কার মার ছিল। স্ট্রাইক রেট ১১৩.৬৩। তবে শেষ রক্ষা হয়নি টিম বাংলাদেশের। ৭৭ রানে হেরে তিন ম্যাচ সিরিজে পিছিয়ে যেতে হয়েছে ১-০ তে। ২৯ ডিসেম্বর একই সময়ে দ্বিতীয় ওয়ানডে মাঠে গড়াবে।
কিউইদের এমন পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করার দিনে মোসাদ্দেক ছাড়া এদিন সাকিব ৫৪ বলে খেলেছেন ৫৯ রানের এক দায়িত্বশীল ইনিংস। তবে পুরোপুরি স্বরূপে দেখা যায়নি তামিম ইকবালকে। কেননা তিনি ক্রিজ ছেড়েছেন ব্যক্তিগত ৩৮ রানে। সৌম্য ১, ইমরুল ১৬ ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ রানের খাতা না খুলেই সাজঘরে ফেরেন।
বল হাতে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট লাভ করেন সাকিব আল হাসান। দু’টি করে নেন তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৩ ঘণ্টা, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬
এইচএল/এমআরএম