নিরাপত্তা শঙ্কার অজুহাত দেখিয়ে ২০১৫ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজটি অফিসিয়ালি স্থগিত করেছিল সিএ। এমনকি গত বছরের শুরুতে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেও দল পাঠায়নি তারা।
অস্ট্রেলিয়ার এবিসি রেডিওতে দেওয়া সাক্ষাতকারে ২০১৭ সালে অজিদের বাংলাদেশ সফরের সম্ভাবনার বিষয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ে পড়েন সাদারল্যান্ড। ইতিবাচক প্রতিক্রিয়াই দেখান তিনি, ‘আমি মনে করি, এটার সম্ভাবনা অনেক বেশি। গত বছরের শেষদিকে আমরা ইংল্যান্ড দলের বাংলাদেশ সফর দেখেছি। নিশ্চিতভাবেই গোটা টিমকে ঘিরে খুবই শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। আমরা আসলে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার জন্যই আমাদের নিরাপত্তা প্রধান সিন ক্যারলকে পাঠিয়েছিলাম। সেখানকার সিস্টেম ও প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার স্বার্থে এটা করা হয়েছিল। ’
খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের নিরাপত্তাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে বলে জানান সাদারল্যান্ড, ‘বর্তমানে এবং পরবর্তী সময়ে যেকোনো কিছুই ঘটতে পারে। আমরা বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখবো। সেখানে খেলার জন্য সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে কাজ করবো এবং সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা শুরু করেছি। বাংলাদেশ সরকার ও ক্রিকেট বোর্ডের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আমরা নিশ্চিতভাবেই একটা স্বস্তির জায়গায় রয়েছি। এ মুহূর্তে অনুমান করে বলছি, আমরা সেখানে দু’টি টেস্ট খেলতে পারি। ’
এ সফরের জন্য এখনো কোনো দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হয়নি বলেও জানিয়েছেন সাদারল্যান্ড। সম্ভাব্য সময় আগস্ট বা সেপ্টেম্বর হতে পারে। ২০০৬ সালের পর থেকে বাংলাদেশের মাটিতে বা বাংলাদেশের বিপক্ষে আরো কোনো টেস্ট সিরিজ খেলেনি অজিরা। সবশেষ তারা ২০১১ সালের এপ্রিলে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে এসেছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৮ ঘণ্টা, ৪ জানুয়ারি, ২০১৭
এমআরএম