পাকিস্তানের সিনিয়র এই ক্রিকেটার আরও জানান, ‘পাকিস্তানের স্কুলগুলোতে বড় কোনো মাঠ নেই। বাচ্চাদের খেলার জন্য কোনো সুযোগ নেই।
‘প্রত্যেক বাবা-মায়ের প্রতি আমার অনুরোধ আপনার সন্তানের ইচ্ছে মতো তাদের ক্রিকেটের আগ্রহ জানার চেষ্টা করুন। তাদের সমর্থন দিন ক্রিকেটে আসতে। একটা বাচ্চা তার বাবা-মায়ের সমর্থনটাই শুধু চায়, মেধা আর আগ্রহ তার ভেতরেই থাকে। ’ জানান আফ্রিদি।
জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের বোর্ডের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত থাকার প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন আফ্রিদি। তিনি জানান, ‘আমি মনে করি কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের বোর্ডের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা উচিৎ। বর্তমান জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে বোর্ডের নিয়মিত আলোচনা করা উচিৎ। কারণ, ক্রিকেটাররাই ভালো জানে কি করলে দেশের ক্রিকেট এগিয়ে যাবে, কি করলে তাদের সেরাটা বের করতে পারবে। আমাদের বোর্ড শুধুমাত্র আন্তর্জাতিকমানের ক্রিকেটারদের নিয়েই উৎসাহী। ঘরোয়া ক্রিকেটের দিকেই তাদের নজর রাখা উচিৎ। এখান থেকেই আগামীর আন্তর্জাতিকমানের ক্রিকেটার পাওয়া সম্ভব। ’
পাকিস্তানের সাবেক এই দলপতি আরও যোগ করেন, ‘আমি টি-টোয়েন্টিতে সেরা হতে পেরেছি কারণ আমার সময় হয়তো কোনো সেরা পারফরমার ছিলো না। আমাদের নিজেদের পারফর্ম বিচার করতে হবে। আমাদের কোনো ক্রিকেট একাডেমি নেই। আমি করাচিতে থাকাকালে খেলার মতো ভালো কোনো জায়গা পাইনি। বাধ্য হয়ে আমাকে পরিবার নিয়ে লাহোরে চলে যেতে হয়েছে। সেখানে ক্রিকেট একাডেমি আছে। পাকিস্তানের প্রতিটি বড় শহরে ক্রিকেট একাডেমি গড়ে তুলতে হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, ০৯ জানুয়ারি ২০১৭
এমআরপি