প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যাটসম্যানরা দারুণভাবেই দায়িত্ব পালন করছেন। শনিবার (১৪ জানুয়ারি) ম্যাচের তৃতীয় দিন মূল কাজটা হবে বোলারদের।
কিন্তু, বাংলাদেশের পেস আক্রমণ অনভিজ্ঞ। তিন পেসারের মধ্যে তাসকিন আহমেদ ও শুভাশীষ রায়ের অভিষেক চলতি টেস্টে। আর কামরুল ইসলাম রাব্বি টেস্ট খেলেছেন মাত্র দুটি। অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসানের সঙ্গে স্পিন আক্রমণে থাকবেন দুই টেস্ট খেলা মেহেদি হাসান মিরাজ।
অভিজ্ঞতা-অনভিজ্ঞতার ব্যাপারটি সামনে আনতে চাচ্ছেন না শাহাদাত হোসেন। তার মতে, ‘ওখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো জায়গাটা। কোন জায়গায় বল করবো। সুইং যদি করানো যায় তবে খুব ভালো হবে। নিউজিল্যান্ড খুব ভালো টিম, ওদেরকে আটকে রাখা সহজ হবে না। পেসাররা অভিজ্ঞ না হলেও বড় মাপের কোচ কোর্টনি ওয়ালশ আছেন দলের সঙ্গে। অভিজ্ঞতার চেয়ে জায়গামতো বল করাই চ্যালেঞ্জ হবে। ’
‘আমরা খুব ভালো ব্যাটিং করেছি। সাকিব ও মুশফিক দুজনকেই অভিনন্দন জানাই। আমাদের ব্যাটিং পার্টটা প্রায় শেষ। কাল যদি আরো কিছু রান করতে পারি তাহলে ৬০০ রান হবে। আমাদের এখন তাকাতে হবে বোলারদের দিকে। ’-যোগ করেন তিনি।
২০০৮ সালের জানুয়ারিতে প্রথমবার নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে ওয়েলিংটনে টেস্ট খেলেন শাহাদাত হোসেন। ইনিংস ও ১৩৭ রানের বিশাল ব্যবধানে স্বাগতিক দলের কাছে হার মানে মোহাম্মদ আশরাফুলের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নিয়েছিলেন শাহাদাত। ৯ বছর আগের ওয়েলিংটনের উইকেটের সাথে কোনো মিলই খুঁজে পাচ্ছেন না এ পেসার, ‘ওয়েলিংটনে এমন উইকেট কখনো দেখিনি। আমি নিউজিল্যান্ড চারটা টেস্ট খেলেছি। ওয়েলিটংনের উইকেট এরকম কখনো ছিলো না। নরমালি বল করলে সুইং করতো, বাউন্স হতো। এখন উইকেট ভিন্ন। স্পিন গ্রিপ করতে হয়তো সুবিধা হবে। আমি মনে করি এটা পজিটিভ সাইড। আমাদের স্পিনার দুইটা সাকিব ও মিরাজ। তিনটা পেসার। পেসারদেরই দায়িত্ব নিতে হবে। জায়গামতো বল করে যদি কিউই ব্যাটসম্যানদের শুরুতেই চাপে ফেলা যায় তবে টেস্ট ম্যাচটি বাংলাদেশের হলেও হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, ১৩ জানুয়ারি, ২০১৭
এসকে/এমআরএম