দীর্ঘ ২১ বছরের দুর্দান্ত ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন আফ্রিদি। ২০১০ সালে টেস্ট ও ২০১৫ বিশ্বকাপে ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় বলেন আফ্রিদি।
নিজের ১৮ নম্বর জার্সিতে স্বাক্ষর করেছেন তিন ফরমেটের ভারতীয় দলপতি কোহলি। আরও স্বাক্ষর করেছেন যুবরাজ সিং, আশিষ নেহারা, জাসপ্রিত বুমরাহ, সুরেশ রায়না, পবন নেগি, মোহাম্মদ সামি, রবীন্দ্র জাদেজা, ভুবনেশ্বর কুমার, আজিঙ্কা রাহানে, শিখর ধাওয়ান, রবীচন্দ্রন অশ্বিন, হারদিক পান্ডে আর রবী শাস্ত্রী।
জার্সির নিচে লেখা ছিল, ‘শহীদ ভাই, আপনার জন্য শুভকামনা, আপনার বিপক্ষে খেলা সব সময়ই সুখকর। ’
অবসর নেওয়ার আগে আফ্রিদি সবশেষ পাকিস্তানের হয়ে ভারতে অনুষ্ঠিত ২০১৬ টি-২০ বিশ্বকাপে খেলেছিলেন। সেবার দলটির পারফরম্যান্স খারাপ হওয়ায় নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাকে। তার অধীনে পাকিস্তান ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপও খেলেছিল। ‘বুম বুম’ নামে পরিচিত আফ্রিদি ১৯৯৬ সালে নিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচেই বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩৭ বলে সেঞ্চুরি করে গড়েন বিশ্ব রেকর্ড। যা পরবর্তীতে ১৮ বছর টিকে ছিল।
ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় পর্যায়ে এসে আফ্রিদি নিজেকে লেগ স্পিনার অলরাউন্ডার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাতে পাকিস্তান ২০০৯ টি-২০ বিশ্বকাপ ঘরে তোলে।
ডানহাতি হার্ডহিটার এ ব্যাটসম্যান ক্যারিয়ারে ২৭টি টেস্ট খেলেছেন। যেখানে ১ হাজার ৭১৬ রানের পাশাপাশি ৪৮টি উইকেট নিয়েছেন। ব্যাটিংয়ে তার সেরা স্কোর ১৫৬। তবে দীর্ঘ ক্যারিয়ার জুড়ে ৩৯৮টি ওয়ানডে খেলেছেন। করেছেন আট হাজারের বেশি রান। পেয়েছেন ৩৯৫ উইকেট।
টি-২০ ক্রিকেটের প্রথা চালু হওয়ার পর এই ফরম্যাটেও বেশ সফল ছিলেন আফ্রিদি। খেলেছেন ৯৮টি ম্যাচে। যেখানে তার রান ১ হাজার ৪০৫ আর উইকেট নিয়েছেন ৯৭টি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, ১৮ এপ্রিল ২০১৭
এমআরপি