বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে আবাহনী নির্ধারিত ৫০ ওভারে তোলে ৩২৭ রান। জবাবে, ৮ উইকেট হারিয়ে ব্রাদার্সের ইনিংস থামে ২৯৫ রানের মাথায়।
এর আগে আবাহনী নিজেদের প্রথম ম্যাচে খেলাঘরকে ৫ উইকেটে হারায়। দ্বিতীয় ম্যাচে পারটেক্সের বিপক্ষে জয়টি ছিল ৭ উইকেটের। ব্রাদার্স প্রথম ম্যাচে ৪ উইকেটে হেরেছিল রূপগঞ্জের বিপক্ষে আর দ্বিতীয় ম্যাচে প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে হেরেছিল একই ব্যবধানে।
আবাহনীর ভারতীয় ওপেনার উদয় কাউল ৬ রানের জন্য শতক বঞ্চিত হন। ১২০ বলে সাজানো তার ৯৪ রানের ইনিংসে ছিল ৫টি বাউন্ডারি। আরেক ওপেনার লিটন দাস করেন ৪৯ বলে ৬টি বাউন্ডারিতে ৪৮ রান। তিন নম্বরে নামা লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের অভিষিক্ত নাজমুল হোসেন ৪৯ রানের ইনিংস খেলেন।
চার নম্বরে নামা দলপতি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৪২ বলে দুটি চার আর ছক্কায় ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন। মোসাদ্দেক ব্যাট হাতে ৩ রান করেন। মিঠুনের ব্যাট থেকে আসে ১৯ রান। শুভাগত হোম খেলেন ৪৪ রানের দারুণ এক ইনিংস। মাত্র ১৭ বলে তার ঝড়ো ইনিংসটি সাজানো ছিল সাতটি চার আর একটি ছক্কায়।
ব্রাদার্সের হয়ে দুটি করে উইকেট পান দলপতি অলোক কাপালি, কামরুল ইসলাম। একটি করে উইকেট দখল করেন ইয়াসির আরাফাত আর নিহাদুজ্জামান।
৩২৮ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত ইনিংস উপহার দেন ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দীক। লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। ১১২ বলে ৮টি চার আর ৩টি ছক্কায় করেন ১১৪ রান। মিডলঅর্ডারে মিজানুর রহমান (৪২), ফরহাদ হোসেন (২৬) আর মাইশুকুর রহমান (২৮) কিছুটা এগিয়ে নেন দলকে।
অলোক কাপালি ৬ রানে বিদায় নেন। কামরুল ইসলাম করেন ১১ রান। শেষ দিকে ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন নিহাদুজ্জামান এবং ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন নাঈম হাসান।
আবাহনীর হয়ে ১০ ওভারে ৪৫ রান খরচায় তিনটি উইকেট। দুটি উইকেট নেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। একটি করে উইকেট পান সানজামুল ইসলাম, সাকলাইন সজীব আর মোসাদ্দেক হোসেন। ম্যান অব দ্য ম্যাচ শুভাগত হোম।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, ২০ এপ্রিল ২০১৭
এমআরপি