শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) তিনি জানিয়েছেন, ‘একটা টেলিভিশন চ্যানেলে দেখলাম বোর্ড সভাপতি মুশফিকের অধিনায়কত্বে অসন্তুষ্ট। আমি আবার অসন্তুষ্ট হলাম কখন! মাশরাফি এবং সাকিবের মতো মুশফিক প্রতিবাদ করতে পারে না, শুধু অন্যের উপর দোষ চাপাতেই পটু; আমি আবার একথা বললাম কখন!’
এসকল সংবাদ মাধ্যমের প্রতি পাপনের অনুরোধ, যেন এ জাতীয় ভুল সংবাদ আর প্রচারিত না হয়, যা কীনা ক্রিকেটারদের উপর অযথা চাপ তৈরি করে, ‘আপনাদের এমন কথায় খেলোয়াড়ের উপরে যে প্রভাব পড়ে সেটা নিশ্চয়ই আপনারা বোঝেন না।
শনিবার (৯ সেপ্টম্বর) রাজধানীর স্থানীয় একটি হোটেলে বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতির এক অনুষ্ঠানে এসে পাপন এসব কথা বলেন।
উল্লেখ্য, গত ৭ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে হারের পর মুশফিক সংবাদ সম্মেলনে এলে মুমিনুল হকের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, কে কত নাম্বারে খেলবে এই ব্যাপারে তার কিছুই বলার নেই। তাকে ম্যানেজমেন্ট যা বলে দেয়, সেই অনুযায়ী বাস্তবায়ন করে।
মুশফিকের সেদিনের করা এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে গতকাল পাপন সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ‘সেরা একাদশে কে খেলবে এবং কে কখন নামবে এটা অধিনায়কের সিদ্ধান্ত। আমরা তাকে শুধুই পরামর্শ দিতে পারি। ম্যাচ চলাকালীন আমাদের ড্রেসিং রুমে যাওয়াও নিষেধ। প্রথম টেস্টে আমি মুশফিককে নিজে অনুরোধ করেছি চার নাম্বারে খেলার জন্য। কিন্তু, সে বলেছে আমি ছ’য়ে খেলবো। দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিন আমি তাকে খবর পাঠিয়েছি ওকে চারে খেলতে, সে খেলেনি। কোচকে জিজ্ঞেস করলাম, কেন? কোচ বললো মুশফিক চাইছে নাসির ও অথবা সাব্বিরকে চারে পাঠাতে। ’
ম্যাচের সেরা একাদশ নির্বাচন এবং ব্যাটিং অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিটি বিষয়ই অধিনায়কের সিদ্ধান্ত বলে মনে করিয়ে দেন পাপন, ‘এটা ওদের সিদ্ধান্ত, আমার কিছু করার নেই। ’
উল্লেখ্য, চারে নামার কথা উঠলেও মুশফিক ১২০ ওভারের মতো কিপিং করায় তড়িঘড়ি ব্যাট হাতে নামতে চাননি। দলের কম্বিনেশন ঠিক রাখতেই তিনি মুমিনুলকে আরও পরে ব্যাটিংয়ে এনেছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩২ ঘণ্টা, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭
এইচএল/এমআরপি